বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Monday, December 23, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » সম্পর্কে গতি আরো বাড়ানোয় ঐকমত্য

সম্পর্কে গতি আরো বাড়ানোয় ঐকমত্য 

023924Modi-Hasina

নয়া উরজা, নয়া গতি’—বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে এমন ভাবনাই জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর বার্তাটি ছিল—দুই দেশের সম্পর্কে যে বিশেষ মাত্রা বা গতি এসেছে, তা শুধু অব্যাহত রাখলেই চলবে না; এর গতি আরো বাড়াতে হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশে দুই দিনের সফরের শেষ দিন গতকাল শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বৈঠকে বসে দুই দেশের প্রতিনিধিদল। ওই বৈঠকের পর ঢাকা ছাড়ার আগে রাত ৮টায় সোনারগাঁও হোটেলে ব্রিফিং করেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। মোদির সফরকে ঐতিহাসিক ও ফলপ্রসূ উল্লেখ করেন তিনি।

শ্রিংলা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৫০ বছরের সম্পর্কের ভাবনা তুলে ধরেছেন। দুই নেতাই আলাপ করেছেন পরবর্তী ৫০ বছরের সম্পর্ক নিয়ে।

kalerkanthoএর আগে সংবাদ সম্মেলন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বাংলাদেশ ও ভারত—দুই পক্ষের সংবাদ সম্মেলনের সারমর্ম হলো, বাংলাদেশ ও ভারত তাদের সম্পর্কের বিশেষ মাত্রা আরো জোরদার করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। দুই দেশই আগামী ৫০ বছরের দিকে তাকিয়ে আছে। এ বিষয়ে দুই দেশ কিভাবে কাজ করতে পারে, সেটা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেই নয়, এই দুই দেশের বাইরেও কানেক্টিভিটি ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে কথা হয়েছে।

বৈঠক শেষে সহযোগিতা জোরদারে বাংলাদেশ ও ভারত গতকাল পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে। এমওইউগুলো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রশমন, বাংলাদেশ ও ভারতের ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর, বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে সহযোগিতার কাঠামো সৃষ্টি, বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্টের আইসিটি সরঞ্জাম, কোর্সওয়্যার ও রেফারেন্স বই এবং প্রশিক্ষণ সরবরাহ এবং রাজশাহী কলেজ মাঠ ও আশপাশের এলাকায় খেলাধুলার সুবিধা সৃষ্টির বিষয়ে।

শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি দুই দেশের বন্ধুত্বের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে ১০৯টি অ্যাম্বুল্যান্স ও ১২ লাখ ডোজ ভারতে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কভিড ভ্যাকসিন উপহার দিয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে অ্যাম্বুল্যান্সের প্রতীকী চাবি ও ভ্যাকসিনের প্রতীকী বাক্স তুলে দেন। অন্যদিকে শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে রৌপ্য মুদ্রাসহ অন্যান্য স্মারক তুলে দেন নরেন্দ্র মোদির হাতে।

অনুষ্ঠানে দুই প্রধানমন্ত্রী মিলে তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন। এগুলো হলো মুক্তিযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর শহীদদের স্মরণে আশুগঞ্জে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ, কুষ্টিয়ার শিয়ালদহে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ‘পাওয়ার ইভাকুয়েশন ফ্যাসিলিটিস’ অবকাঠামো নির্মাণ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে ঢাকার সঙ্গে নিউ জলপাইগুড়ির ট্রেন সার্ভিস ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ এবং ভারতের সঙ্গে সুনামগঞ্জ ও সিলেট সীমান্তে তিনটি সীমান্ত হাট উদ্বোধন করেন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্বাধীনতা সড়ক চালুর বিষয়ে ভারত সম্মত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ওই সড়ক নিয়ে একটি ভিডিও দেখানো হয়।

বৈঠক শুরুর পরপরই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এক টুইট বার্তায় জানিয়েছিলেন, ‘প্রতিবেশীই প্রথম নীতির আওতায় বাংলাদেশকে ভারতের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে পুনর্ব্যক্ত করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেছেন।’

বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, এটি মোদির অত্যন্ত ফলপ্রসূ ও গুরুত্বপূর্ণ সফর। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষ—ঐতিহাসিক সব মাত্রাই ছিল এই সফরে। নরেন্দ্র মোদি ঢাকার বাইরে তিনটি ঐতিহাসিক স্থান সফর করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে বলেছেন, এই প্রথম কোনো বিদেশি সরকারপ্রধান টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানালেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ভারতের সেরা বিষয়গুলো তুলে ধরার কথা বলেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকালের বৈঠকে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁর দেশের আন্তরিক আগ্রহ ও অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে বলেছেন যে চুক্তি সইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে তাঁরা কাজ করবেন।

নরেন্দ্র মোদির সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে সফরের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটের সমীকরণ আছে কি না জানতে চাইলে শ্রিংলা তা নাকচ করেন। তিনি বলেন, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরের সময়ই মোদি ওই স্থান দুটিতে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। এবার কুষ্টিয়ায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ীতেও যাওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন।

শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিকভাবে জড়িত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্রিপুরা সফরকালে বিশাল ময়দানে বক্তব্য রেখেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত গারো হিলস এলাকায় গেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরটি কিছুটা আনুষ্ঠানিক উদযাপনের হলেও বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় অর্থবহ আলোচনা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরো বেগবান ও জোরদার হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

২০২২ সালে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ : ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্জিত অভূতপূর্ব সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উৎসব যৌথভাবে উদযাপনের বিভিন্ন পরিকল্পনাও তাঁদের আলোচনায় স্থান পায়। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ২০২২ সালে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।

৬ ডিসেম্বর মৈত্রী দিবস : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দিয়েছিল। এ জন্য ৬ ডিসেম্বরকে ‘মৈত্রী দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। যৌথ উদযাপনের কাঠামো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। ঐতিহাসিক মুজিবনগর-নদীয়া সড়কটিকে ‘স্বাধীনতা সড়ক’ নামকরণে বাংলাদেশের প্রস্তাবকে ভারত স্বাগত জানিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যস্ততা ও সময় স্বল্পতার কারণে এখনই সড়কটি উদ্বোধন করা না গেলেও ভারতীয় পক্ষের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্নের পর যৌথ উদযাপনের অংশ হিসেবে অচিরেই এটি উদ্বোধন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বাণিজ্য ও কানেক্টিভিটি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক ভারসাম্য বাংলাদেশের অনুকূলে আনা এবং বাণিজ্য অবারিত করার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বাণিজ্য উৎসাহিত করার উপায় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ শুল্ক ও অশুল্ক বাধা অপসারণে গুরুত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশ পাটজাত পণ্য রপ্তানির ওপর ২০১৭ সাল থেকে ভারত আরোপিত ‘অ্যান্টি ডাম্পিং ডিউটি’ প্রত্যাহারে অনুরোধ জানিয়েছে। এ ছাড়া আলোচনা হয়েছে স্থলবন্দর উন্নয়ন ও বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে।

বাণিজ্য বাড়াতে কানেক্টিভিটির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন দুই নেতা। সড়ক, রেল ও নৌপথে মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটির মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী উদ্যোগগুলোর প্রশংসা করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। ‘ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিদেশীয় মহাসড়ক’ প্রকল্পে যুক্ত হতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা ভারতকে জানানো হয়েছে।

কভিড ভ্যাকসিন : ভারতে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ২০ লাখ ডোজ উপহারের জন্য এবং ৫০ লাখ ডোজের প্রথম ব্যাচের দ্রুত সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা অবশিষ্ট ভ্যাকসিন নিয়মিত সরবরাহের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত বাংলাদেশকে ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

যৌথ নদ-নদী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যৌথ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার ওপর বাংলাদেশের অলংঘনীয় অধিকারের বিষয়টি বরাবরের মতোই জোরালোভাবে উত্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তিস্তার পানিবণ্টনের ‘অন্তর্বর্তী চুক্তি’ দ্রুত সম্পাদনের জোর দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, চুক্তিটি দ্রুত স্বাক্ষরে ভারত আন্তরিকভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং এ বিষয়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, ধরলা ও দুধকুমার—এই ছয়টি আন্তঃসীমান্ত নদীর পানিবণ্টনের অন্তর্বর্তী চুক্তির কাঠামো চূড়ান্তকরণের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে দুই দেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ‘উজান সুরমা-কুশিয়ারা সেচ প্রকল্পে’ কুশিয়ারা নদীর পানি ব্যবহারের উদ্দেশ্যে রহিমপুর খালের অবশিষ্টাংশ খননের আবশ্যকতার ওপর গুরুত্বারোপ করে ‘কুশিয়ারা নদীর পানি প্রত্যাহারের জন্য প্রস্তাবিত সমঝোতা স্মারক’ স্বাক্ষরের ভারতের দ্রুত সম্মতি কামনা করেছে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতা, বিশেষত নেপাল ও ভুটানকে সঙ্গে নিয়ে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

মোদির সফরে ১০ ঘোষণা : ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্তকারী একটি নতুন ট্রেন পরিষেবা ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের জন্য ‘স্টার্টআপ কনক্লেভ’ ঘোষণা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি ভারতের ‘স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের’ সঙ্গে সংযোগের জন্য ৫০ তরুণ বাংলাদেশি উদ্যোক্তাকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। শিক্ষার মাধ্যমে সংযুক্তির অংশ হিসেবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভারতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার জন্য এক হাজার সুবর্ণ জয়ন্তী বৃত্তি ঘোষণা করেছেন মোদি। এ ছাড়া পারস্পরিক সমঝোতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ অধ্যয়নের সুবিধার্থে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।

নরেন্দ্র মোদি সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ঐতিহাসিক যশোরেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনের সময় ঘোষণা দিয়েছেন, শ্যামনগরের মানুষের সুবিধার্থে ভারত সরকারের অনুদান তহবিলের আওতায় একটি ‘কমিউনিটি হল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার’ তৈরি করা হবে। গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে মোদি ঘোষণা করেছেন, ভারত সরকারের অর্থায়নে ওড়াকান্দিতে শিশুদের জন্য একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় তৈরি এবং মেয়েদের জন্য একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আধুনিকায়ন করবে। এ ছাড়া বন্ধুত্বের অঙ্গীকার ৬ ডিসেম্বর দুই দেশ ‘মৈত্রী দিবস’ উদযাপন করবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বছর এবং ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বছর উপলক্ষে ‘ভারতের সেরা, বাংলাদেশের সেরা প্রদর্শনী’ এবং ব্যাবসায়িক সভা অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি আরো ঘোষণা দিয়েছেন, ২০২২ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম ‘এয়ার শোতে’ ভারত অংশ নেবে। নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা দিয়েছেন, বাংলাদেশের জাদুঘরগুলোতে প্রদর্শনের জন্য ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় বাহিনী ব্যবহৃত সামরিক সরঞ্জাম দেবে ভারত।

এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করে রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা ছেড়েছেন। এর আগে বাংলায় টুইট বার্তায় বলেন, ‘আমার সফরকালে বাংলাদেশের জনগণ যে আন্তরিকতা দেখিয়েছে তার জন্য আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাঁর উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমার বিশ্বাস, এই সফর আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করবে।’

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone