আজ পবিত্র শবেবরাত
পবিত্র শবেবরাত বা লাইলাতুল বারাত আজ। প্রতিবছর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় মহান আল্লাহর রহমত কামনায় নফল ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে পবিত্র শবেবরাত পালন করেন। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল রবিবার আলাদা বাণী দিয়েছেন।
হিজরি বছরের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে মুসলমানরা সৌভাগ্যের রজনী মনে করেন। ইসলাম ধর্ম মতে, মহিমান্বিত এই রাতে মহান রাব্বুল আলামিন তাঁর বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকারসহ বিভিন্ন ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।
এদিকে ১৪৪২ হিজরির পবিত্র শবেবরাত উদযাপন উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আজ সোমবার বাদ মাগরিব ‘শবেবরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ওয়াজ মাহফিল শেষে বাদ এশা দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। ওয়াজ, দোয়া ও মোনাজাত করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান।
পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেন, ‘পবিত্র শবেবরাত মুসলমানদের জন্য মহিমান্বিত ও বরকতময় এক রজনী। শবেবরাতের এই পবিত্র রজনীতে আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি, কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্যের প্রার্থনা জানাই। সৌভাগ্যমণ্ডিত পবিত্র শবেবরাতের পূর্ণ ফজিলত আমাদের ওপর বর্ষিত হোক।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, ‘পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মুসলমানকে আমি আন্তরিক মোবারকবাদ জানাই। আসুন, সব ধরনের অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সব স্তরে প্রতিষ্ঠা করি।’