ধোলাইয়ে শুরু ধোলাইয়ে শেষ
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে কোনোদিনই জয় পায়নি বাংলাদেশ। কোনো ফরম্যাটেই নয়। সে যত শক্তিশালী দল নিয়েই যাক না কেন। ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে সফর শুরু করা টিম টাইগার ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। এরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজে একই ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েই তাদের সফর শেষ হলো। অকল্যান্ডে আজ সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকরা জিতেছে ৬৫ রানের ব্যবধানে।
১০ ওভারে ১৪২ রানের বিশাল টার্গেট তাড়ায় নেমে আগের ম্যাচের হাফ-সেঞ্চুরিয়ান সৌম্য সরকার আজও রুদ্ররূপে ধরা দেন। টিম সাউদিকে দুটি বাউন্ডারি মেরে শুরু করেন তিন নম্বর থেকে ওপেনিংয়ে আসা সৌম্য। পরের বলে নেন ২ রান। পঞ্চম বলে নিজের বলে সৌম্যর (৪ বলে ১০) চোখ ধাঁধানো ক্যাচ নেন সাউদি। শেষ বলে বোল্ড হয়ে ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরে ফিরেন অভিষিক্ত অধিনায়ক লিটন দাস। অধিনায়ক হিসেবে লিটন দাসের অভিষেকটাও হলো করুণ।
দুই হার্ডহিটার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বাংলাদেশের সব আশা সেখানেই শেষ হয়ে যায়। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ১৩ বলে ১ চার ২ ছক্কায় ১৯ রান করে টড অ্যাস্টলের শিকার হন। এটাই বাংলাদেশর কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান। একই ওভারের শেষ বলে বহুল বিতর্কিত নাজমুল হোসেন শান্তও ৬ বলে ৮ রান করে বোল্ড হয়ে ফিরেন। ব্যর্থতা অব্যাহত রাখেন আফিফ হোসেন ধ্রুব (৮)। শিকারী সেই অ্যাস্টল। এই লেগস্পিনার ফিরিয়ে দেন মেহেদি হাসানকেও (০)।
৬০ রানে বাংলাদেশের নেই ৭ উইকেট। এদিকে ওভারও কমে আসছিল। তাই ওভার শেষের আগে উইকেট শেষ হবে কিনা- এমন আশঙ্কাও করছিলেন কেউ কেউ। এর মাঝেই তাসকিন আহমেদকে (০) বোল্ড করে দেন লুকি ফার্গুসন। প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৪ বলে ১৩ রান করে সাউদির তৃতীয় শিকার হন। নাসুম আহমেদকে (৩) গ্লেন ফিলিপস তুলে নিলে ৯.৩ ওভারে ৭৬ রানে প্যাকেট হয়ে যায় বাংলাদেশ। রুবেল হোসেন ৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে বৃষ্টিতে কর্তিত ওভারের ম্যাচে ১০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। ওপেনার মার্টিন গাপটিল ১৯ বলে ১ চার ৫ ছক্কায় ৪৪ রানের ঝড় বইয়ে দেন। তার স্ট্রাইক রেট ২৩১.৫৮। আরেক ওপেনার অ্যালান তো আরও ভয়ংকর। ২৯ বলে করেন ৭১ রান। হাঁকান ১০টি চার এবং ৩ ছক্কা। এরপর গ্লেন ফিলিপস (১৪) আর ডেরি মিচেলের (১১) ছোট অবদানে রানের পাহাড় গড়ে কিউইরা। ১টি করে উইকেট নেন তাসকিন, শরীফুল আর মেহেদি।