বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Wednesday, December 25, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » আর্ন্তজাতিক » ‘সুয়েজ খাল বন্ধের পেছনে দায়ী মিসরীয় নারী ক্যাপ্টেন’

‘সুয়েজ খাল বন্ধের পেছনে দায়ী মিসরীয় নারী ক্যাপ্টেন’ 

download

গত মাসের ঘটনা। পুরো বিশ্ব তখন জেনে গেছে বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ সুয়েজ খাল বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর। সুয়েজ খাল থেকে তখন কয়েক শ মাইল দূরে আলেকজান্দ্রিয়াতে কর্মরত ছিলেন মারওয়া এল সেলাহদার। গত ২৩ মার্চ ২০ হাজার কন্টেইনার ভর্তি এভার গিভেন নামের বিশাল জাহাজটির মাথা সুয়েজ খালের তীরে বালিতে আটকে যায়। সে সময় মারওয়া তার মোবাইল ফোনে দেখতে পান, তাকেই এই ঘটনার জন্য দায়ী করে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে। মিসরের প্রথম নারী ক্যাপ্টেন মারওয়া বলেন, ‘আমি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেছি।’ওই সময়ে মিজ এলসলেহডার মিশরের মেরিটাইম সেফটি কর্তৃপক্ষের আইডা ফোর নামে জাহাজে ফার্স্ট মেট হিসেবে কাজ করছেন। ঘটনার সময় জাহাজটি ছিল সুয়েজ খাল থেকে কয়েক শত মাইল দূরে আলেকজান্দ্রিয়ায়। জাহাজটি মিশরের সমুদ্র নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন। এটি লোহিত সাগরে একটি বাতিঘরের জন্য সরবরাহ পৌঁছে দেবার কাজ করে। এছাড়া আরব লীগ পরিচালিত আরব অ্যাকাডেমি ফর সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টের নবীন ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণের কাজেও ব্যবহৃত হয়।

একটি ভুয়া বা অসত্য সংবাদের মাধ্যমে সুয়েজ খালের অচলাবস্থার সাথে মারওয়া এলসেলেহদারের জড়িত বলে খবর ছড়িয়ে পড়েছে । সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভুয়া এক সংবাদ শিরোনামের স্ক্রিনশটে ওই অচলাবস্থার জন্য মিজ এলসেলেহদারকে দায়ী করা হয়। ভুয়া যে সংবাদ শিরোনামের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়েছে, সেটি আরব নিউজে প্রকাশিত কোনো প্রতিবেদন। ওই খবরে প্রকাশিত বানানো বা ডক্টরড ছবিটি নেয়া হয়েছে আরব নিউজে ২২ মার্চ প্রকাশিত এক আসল খবর থেকে। সেখানে মিশরের প্রথম নারী জাহাজের ক্যাপ্টেন হিসেবে মিজ এলসেলেহদারের ওপর একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। টুইটারে সেই ছবি বহুবার শেয়ার করা হয়েছে। এমনকি টুইটারে মারওয়া এলসেলেহদারের নামে থাকা অনেকগুলো অ্যাকাউন্ট থেকেও ওই ভুয়া খবর ছড়ানো হয় যে তিনি এভার গিভেনের সাথে যুক্ত ছিলেন। এলসেলেহদার বিবিসিকে বলেছেন, তার কোনো ধারণই নেই কে কোথা থেকে আর কেন এই ভুয়া খবর ছড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমি এই খাতে একজন সফল নারী, সেজন্য আমাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। অথবা হয়তো আমি একজন মিশরীয় সেজন্যও হতে পারে, কিন্তু আমি নিশ্চিত না কেন এমনটা হয়েছে।’
তবে তিনি সুয়েজ খালের ওই জটিলতায় কোনোভাবে যুক্ত ছিলেন না। মারওয়া এলসেলেহদার ২০১৫ সাল থেকে আইডা ফোর জাহাজের ক্যাপ্টেন হিসেবে কাজ করছেন। খবর বিবিসি।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone