স্মার্টফোনে ছবি তোলার জনপ্রিয় কয়েকটি অ্যাপ
খুশির মুহুর্তের ছবিগুলি ক্যাপচার করতে সবাই পছন্দ করে। এখন বেশির ভাগ মানুষই স্মার্টফোন কেনার আগে ক্যামেরায় গুরুত্ব দিয়ে থাকে সুন্দর ছবি তোলার জন্য। বর্তমান সময়ে জীবনযাত্রার অন্যতম একটি ব্যবহার্য বস্তু হচ্ছে স্মার্টফোন। সকলের সাথে এখন স্মার্টফোন রয়েছে, কিন্তু স্মার্টফোনের ক্যামেরা আশানুরূপ ছবি দিতে পারে না। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তি, বাড়ছে জীবনযাত্রার মান। প্রযুক্তির কল্যাণে হাতের মুঠোয় চলে এসেছে পুরো বিশ্ব। প্রতিদিনের ঘোরাফিরা, খানাপিনা, আড্ডা এসবের কিছুই যেনো জমে না সেলফি ছাড়া। সেলফির জন্যইতো কত আয়োজন। এক একটা আড্ডা মানেই সেল্ফিতে নানা ভঙ্গিতে সেটাকে ফ্রেমবন্দি করার জমপেশ আয়োজন। তবে প্রাত্যহিক জীবনে ছবি তোলা মানুষের অন্যতম একটি চর্চা। আর এক্ষেত্রে হাতে থাকা মুঠোফোনই সর্বেসর্বা। সুযোগ-সুবিধা ও ব্যবহারবিধির দিক থেকে স্মার্টফোনের ছবি তোলার সেরা অ্যাপ গুলো হলো:
১. ডিএসএলআর ক্যামেরা প্রো:
ম্যানুয়াল কন্ট্রোলের মাধ্যমে যদি আপনি ছবি তুলতে চান, তাহলে এ অ্যাপ আপনার পছন্দের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে। এ অ্যাপ থেকে আপনি ভালো কিছু ফিচার আশা করতে পারেন। এর মাধ্যমে হোয়াইট ব্যালান্স, আইএসও, এক্সপোজার, আরজিবি হিস্টোগ্রামের কাজ করা যাবে। এ অ্যাপের মাধ্যমে আপনি ডিএসএলআর ক্যামেরার শাটার বাটনের মতো কাজ করতে পারবেন।
২.গুগল ক্যামেরা:
এ অ্যাপ ফোনের হার্ডওয়্যারকে আরো কার্যক্ষম করার মাধ্যমে ভালো ছবি ধারণে সাহায্য করে। এতে নাইট মোড, পোর্ট্রেট, প্যানারোমা, ফটো স্পিয়ার সুবিধা রয়েছে। গুগলের পিক্সেল ফোনগুলো তাদের ক্যামেরার জন্যই বেশি পরিচিত। তবে ক্যামেরার পারফরম্যান্স ফোনের হার্ডওয়্যার নয়, সফটওয়্যারের ওপর নির্ভর করে। আর এদিক থেকে গুগলের ক্যামেরা (জিক্যাম) বা পিক্সেল ক্যামেরা সবার পছন্দের শীর্ষে।
৩. ক্যামেরা এফভি-ফাইভ:
আপনি যদি ম্যানুয়াল কন্ট্রোলে ছবি তুলতে ভালোবাসেন, তাহলে এ অ্যাপ আপনার জন্য। এতে ফোকাস, এক্সপোজার, হোয়াইট ব্যালান্স এমনকি শাটার স্পিডও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সবকিছু ঠিক করার পর আপনি র, পিএনজি ও আরজিবি হিস্টোগ্রাম ফরম্যাটে ছবি তুলতে পারবেন। এ অ্যাপের মাধ্যমে ছবি তোলার পর সহজেই তা এডিট করা যায়।
৪. এ বেটার ক্যামেরা:
ব্যাসিক সব ক্যামেরা ফিচার দিয়ে সাজানো হয়েছে এ বেটার ক্যামেরা অ্যাপ – তবে ব্যাসিক ফিচারগুলোর পাশাপাশি থাকছে ৩৬০ ডিগ্রি প্যানারোমা শট, অবজেক্ট রিমুভাল এর মতো এডভান্স সব ফিচার। এ অ্যাপে বার্স্ট মুড থেকে শুরু করে, নাইট মুডসহ ছবি থেকে কোনো কিছু সরিয়ে ফেলাসহ বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও এতে এইচডিআর সুবিধাও প্রদান করা হয়েছে। ম্যানুয়াল কন্ট্রোলে যদি আপনি সাবলীল না হন, তাহলে এ অ্যাপ ব্যবহার করাই আপনার জন্য উত্তম।
৫. ক্যামেরা এমএক্স:
ক্যামেরা এমএক্স তুলনামূলকভাবে পুরনো একটি অ্যাপ। তবে এর ডেভেলপাররা প্রতিনিয়ত এর আপডেট করে যাচ্ছেন। এটি ব্যবহারের দিক থেকে খুবই সহজ। এ অ্যাপে খুব বেশি ফিচার না থাকলেও এর মাধ্যমে গ্রাফিকস ইন্টারচেঞ্জ ফরম্যাটের (গিফ) ছবি তৈরি করা যায়। এছাড়াও এতে বিল্ট ইন ফটো এডিটর থাকায় আপনি এ অ্যাপেই আপনার ছবি সম্পাদনা করতে পারবেন।
৬ . ওপেন ক্যামেরা:
ওপেন ক্যামেরা অ্যাপ একটি সাধারণ দেখতে সফটওয়্যার হলেও এটি ফিচারে ভর্তি। মূলত যারা ফটোগ্রাফির টার্মগুলো ভালোভাবে বুঝেন তাদের জন্য এই অ্যাপটি কোনো গুপ্ত খাজানার চেয়ে কম নয়। কোনো ধরনের ফিচার কেনার কিংবা এড এর ঝামেলাবিহীন ওপেন ক্যামেরা অ্যাপটিতে থাকছে – এক্সটার্নাল মাইক্রোফোন সাপোর্ট, এইচডিআর, এক্সপোজার ব্র্যাকেটিং এর মত পাওয়ারফুল সব ফিচার। এছাড়াও থাকছে নয়েজ রিডাকশন ফিচার, স্বল্প আলোতেও ভালো ছবি তুলতে সাহায্য করে। ফ্রন্ট ক্যামেরা দিয়ে প্যানারোমা শটও তোলা সম্ভব ওপেন ক্যামেরা ব্যবহার করে।
৭ . সাইমেরা:
যারা সেল্ফি তুলতে আর সেগুলো সোস্যাল মিডিয়ার উপযোগী এডিট করে আপলোড দিতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য সাইমেরা অ্যাপটি হতে পারে একটি পারফেক্ট চয়েজ। অসংখ্য চমৎকার ফিল্টার এর পাশাপাশি অ্যাপটিতে দেখা মিলবে বডি রিসাইজিং এর মত ইউনিক ফিচার এর। এছাড়াও অ্যাপটি ব্যবহার করে কোলাজ ফটো তৈরী করা সম্ভব। আরো থাকছে বিশাল এক স্টিকার লাইব্রেরী, যার মাধ্যমে আপনি আপনার ফটোগুলোকে আরো সুন্দরভাবে সাজাতে পারবেন।
৮. ক্যামেরা অ্যাপ – পিক্সিটিকা:
প্রফেশনাল মানের ম্যানুয়াল কন্ট্রোল, স্টিকার, GIF রেকর্ডার, ফটো এডিটর, লাইভ ফিল্টার, মিম এডিটর, ডকুমেন্ট স্ক্যানার সহ অংসখ্য ফিচার দিয়ে ঠাসা পিক্সিটিকা অ্যাপটি। প্লে স্টোরে অন্যান্য অ্যাপ এর তুলনায় পিক্সিটিকা অ্যাপটি নতুন হলেও কার্যকারিতার দিক দিয়ে কোনোদিকেই পিছিয়ে নেই অ্যাপটি।
৯. বেকন ক্যামেরা:
ক্যামেরা ২ এপিআই সাপোর্ট ছাড়াই এন্ড্রয়েড ফোনে অসাধারণ সব কাস্টম ক্যামেরা কন্ট্রোল ফিচার যুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেয় বেকন ক্যামেরা অ্যাপ। লাইভ হিস্টোগ্রাম, টাইমড শট, টিনি প্ল্যানেট এর মত অসংখ্য ফিচার দিয়ে ভর্তি বেকন ক্যামেরা অ্যাপটি।