জনসন অ্যান্ড জনসনের কোভিড টিকা রক্ত জমাট বাঁধে কিনা তা নিয়ে পর্যালোচনা : ইএমএ
জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি করোনা টিকা ব্যবহার করলে রক্ত জমাট বাঁধে কিনা তা নিয়ে পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কারণ এই টিকা দেওয়ার পর কিছু মানুষের দেহে রক্ত জমাট বাঁধার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। যুক্তরাষ্ট্রে চার ব্যক্তির দেহে জনসনের তৈরি করোনার টিকা দেওয়ার পর রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। জনসন অ্যান্ড জনসন বলছে, কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার পর রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার কিছু ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা সম্পর্কে তারা অবগত। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং সেগুলো ইউরোপের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সির সঙ্গে একযোগে কাজ করছে জনসন অ্যান্ড জনসন। মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন বলেছে, জেএন্ডজে এর ভ্যাকসিন গ্রহণের পরে কিছু মানুষের রক্ত জমাট বেঁধে ছিল- যাদের শরীরে প্লাটিলেটের সংখ্যা কম থাকে, তাদের দেহে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে। তবে এ ঘটনা নানা শারীরিক ত্রুটির কারণে হয়ে থাকতে পারে। এ বিষয়ে আরও গবেষণা ও পর্যালোচনার প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলির মতে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ মিলিয়ন মানুষ জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের যে চার ব্যক্তির দেহে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার খবর জানা গেছে, ওই ব্যক্তিদের দেহে প্লাটিলেটের সংখ্যাও কমে গেছে। ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি বলছে, এর আগে এ টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সময়ও এক ব্যক্তির দেহে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল এবং ওই ব্যক্তির পরে মৃত্যু হয়েছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সির (ইএমএ) সুরক্ষা কমিটি অ্যাস্ট্রাজেনিকার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অস্বাভাবিক রক্ত জমাট বাঁধা নিয়েও পর্যালোচনা করছে। খবর রয়টার্স।