জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে গেলেই জরিমানা
করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা ও সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত ‘কঠোর লকডাউন’ এর দ্বিতীয় দিন চলছে আজ। তবে প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন রাস্তায় লোকজনকে তুলনামূলক রাস্তায় দেখা গেছে। মানুষকে লকডাউন চলাকালে ঘরের বাইরে বের হতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এই নির্দেশনা অমান্য করলে ব্যবস্থা নেবে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যাওয়ার জন্য ‘মুভমেন্ট পাস’-এর ব্যবস্থা করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে র্যাব-৩-এর সহযোগিতায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নিদর্শনা অনুযায়ী যারা আদেশ অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে। যারা বিনাকারণে বাইরে ঘোরাঘুরি করবেন, মুভমেন্ট পাস না নিয়ে বাইরে বের হবেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মানবেন না তাদের জরিমানা করা হবে। জরিমানার পাশাপাশি জনগণকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না আসার জন্য এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদ্বুদ্ধ করা হবে।
পলাশ কুমার বসু আরো বলেন, জরিমানা করা র্যাবের উদ্দেশ্য নয়। র্যাবের উদ্দেশ্য করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা এবং সরকারের সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মানতে সচেতনতা তৈরি করা।
সরকার ‘কঠোর লকডাউন’ আরোপ করলেও ব্যাংকিং কার্যক্রম এবং শিল্প-কারখানা বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত রেখেছে। ফলে মানুষের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তাও বেড়েছে।
এ দফায় ‘কঠোর লকডাউন’ কার্যকর করতে সরকারের ১৩ দফা বিধি নিষেধে বলা হয়েছে, ‘অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসা সেবা, মরদেহ দাফন বা সৎকার এবং টিকা কার্ড নিয়ে টিকার জন্য যাওয়া) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। পুলিশের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বলা হয়েছে, কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে তা বাস্তবায়নে এবার কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে আসতে দেয়া হবে না।
যেভাবে পাওয়া যাবে ‘মুভমেন্ট পাস’
movementpass.police.gov.bd এর ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পাস সংগ্রহ করতে পারবেন যে কেউ। তবে প্রতিটি পাস একবারই ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ যাওয়া-আসার জন্য আলাদা আলাদা পাস সংগ্রহ করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান, যার জন্য পাসটি দরকার সেই ব্যক্তির নাম, মোবাইল ফোন নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র বা ড্রাইভিং লাইসেন্স, যে স্থানে যাচ্ছেন সে জায়গার নাম, যেখান থেকে যাবেন সেই স্থানের নাম ও যাত্রার কারণ ইত্যাদি তথ্য পূরণ করে উল্লেখিত লিংকে আবেদনের পর পুলিশ অনলাইনে কিউআর কোড স্ক্যানারসহ একটি পাস ইস্যু করবে। এই কোডটি স্ক্যান করেই চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা আবেদনকারীর তথ্য ও যাত্রার কারণ নিশ্চিত করবেন।