বিরতি ভেঙে অভিনয়ে ফিরলেন চাঁদনী
প্রায় পাঁচ বছরের বিরতি শেষে আবারও অভিনয়ে ফিরলেন নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী চাঁদনী। নিউয়েরা ফিকশনের প্রযোজনায় ‘অসমাপ্ত চা’ নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেন তিনি।
একক চরিত্রের এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন মৌসুমী আচার্য্য। এটি পরিচালনা করেছেন মাহমুদ নিয়াজ চন্দ্রদ্বীপ। নিউয়েরা ফিকশনের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলের জন্য এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।
এই প্রযোজনায় একজন নারীর কন্যা থেকে স্ত্রী ও জননী হয়ে ওঠার গল্প তুলে ধরা হয়েছে। সময়ের পরিবর্তনে ও বাস্তবতার নীরিখে কিভাবে একটি মেয়ের ছোট ছোট স্বপ্ন, সাধ ও ইচ্ছাগুলো হারিয়ে যায়। নারীর কাঁধে যখন একে একে দায়িত্ব ও কর্তব্যের ভার এসে পড়তে থাকে, তখন তার নিচে চাপা পড়ে যায় ওই তার ছোট ছোট স্বপ্নগুলো। যা আমাদের বর্তমান সমাজেরই চিত্র।
এ প্রসঙ্গে নির্মাতা মাহমুদ নিয়াজ চন্দ্রদ্বীপ বলেন, “সংলাপ বিহীন একক চরিত্রে গল্প বলার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি।আমাদের এই জীবনের বেশীরভাগ চাওয়া পাওয়াই অসম্পূর্ণ থেকে যায়।কতোজনই বা পেরেছে তার জীবনের সব কাজ সমাপ্ত করতে। “অসমাপ্ত চা“ এমনই একটা উদাহরণ মাত্র। আর চাঁদনী অনেকদিন পর অভিনয়ে ফিরেছেন। তার দক্ষতা নিয়ে নতুনকরে কিছু বলার নেই“
এর আগে কৈশোরে (ক্লাস এইটে থাকতে) চাঁদনী প্রথম কুসুম নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন । তার এতো বছর পর তিনি অসমাপ্ত চায়ে অভিনয় করলেন।
এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী চাঁদনী বলেন, এই গল্পের মধ্যে সবচে ভালো লেগেছে যে অসমাপ্ত চা মানে মানুষের জীবনে আসলে কোনকিছুই পরিপূর্ণতা পায়না।এটা একটা চায়ের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে।জীবনের সবকিছুর মোড় ঘুরে যায় যেকোনও সময়, অসমাপ্তই থেকে যায়।এই পাওয়া না পাওয়ার দোলাচলই আমাকে এই প্রযোজনার প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে। প্রথম যখন স্ক্রিপটা পড়েছি, স্ক্রিপ্টটা বিশেষ করে সুন্দর। পুরনো স্মৃতি, বর্তমান নিয়ে চলার ভেতরে পরিপূর্ণতা না পাওয়ার যে জায়গাটাতে খুব সুন্দর গাঁথুনি দেয়া । স্ক্রিপটার জন্যই আমার “অসমাপ্ত চা“_তে অভিনয় করা।