বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Tuesday, December 24, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » ঢাকা, লন্ডন ও নিউইয়র্কের চিকিৎসকরা খালেদাকে নতুন একটি ওষুধ দিয়েছেন

ঢাকা, লন্ডন ও নিউইয়র্কের চিকিৎসকরা খালেদাকে নতুন একটি ওষুধ দিয়েছেন 

135206khaleda_zia_kk

করোনায় আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান রিপোর্ট ভালো এসেছে বলে জানিয়েছিলেন তাঁর চিকিৎসক দলের সদস্য প্রফেসর ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন। তবে চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে বিস্তারিত জানানোর কথা বলেছিলেন তিনি।

শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা, লন্ডন ও নিউইয়র্কের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা হাই রেজুলেশন সিটি স্ক্যানের ফাইনাল রিপোর্ট দেখে আগের ব্যবস্থাপত্রের সাথে শুধু নতুন একটি ওষুধ যুক্ত করেছেন।

এর আগে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে রাত দেড়টার দিকে বেগম খালেদা জিয়ার হাই রেজ্যুলেশন সিটি স্ক্যানের চূড়ান্ত রিপোর্ট পান সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এভার কেয়ার হাসপাতালের রিপোর্ট পাবার পর রাতে ভার্চুয়ালি লন্ডনে অবস্থানরত ডাক্তার জোবায়দা রহমান ও নিউইয়র্কের একাধিক কভিড বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করেছেন। আগের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসনের ডায়বেটিক ও আর্থাইটিসের যেসব চিকিৎসা চলছিল তা স্বাভাবিক নিয়মে চলবে বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের অন্যতম সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন শুক্রবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে জানান, ‘ঢাকায় ব্যক্তিগত চিকিৎসকদলের সদস্যরা ভার্চুয়ালি ডাক্তার জোবায়দা রহমান এবং নিউইয়র্কের মাউন্ট সেনাই ও অপর এক হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাথে ম্যাডামের (খালেদা জিয়ার) সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করেছেন। পরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ম্যাডামের জন্য শুধু বাড়তি একটি ওষুধ যোগ করেছেন। আগের ওষুধও চলবে বলে ওই চিকিৎসকরা মত দিয়েছেন।’

এর  আগে প্রভিশনাল রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর ফুসফুসে করোনার সংক্রমণ খুবই কম বলে জানিয়েছিলেন ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘সিটি স্ক্যানের চূড়ান্ত রিপোর্টে যেটি ধরা পড়েছে, অত্যন্ত মিনিমাম ইনভলভমন্টের কথা বলা আছে। যে কারণে তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন।’

বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে একটি দল তাঁকে চিকিৎসা দিচ্ছেন। এই দলের সদস্যরা জুমে বৈঠক করে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করেন। এসব বৈঠকে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানও থাকেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন ছাড়াও গুলশানে ফিরোজার বাসায় তাঁর গৃহকর্মীসহ আরো আটজন স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন বাড়ি চলে গেছেন এবং বাকিরা ফিরোজায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে ছিলেন। গত বছরের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে তাঁকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone