যে কারণে পাকিস্তান দলে আবারও শোয়েব মালিককে চান আফ্রিদি
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করেছে পাকিস্তান। রেকর্ড গড়েছেন অধিনায়ক বাবর আজম। ব্যাট হেসেছে টপঅর্ডারদের। এমন দুর্দান্ত সাফল্যের সিরিজেও পাকিস্তান দলে একটি দুর্বলতা প্রকাশ্য হয়েছে প্রকটভাবে। সেটি হলো মিডল অর্ডারে পাকিস্তান দলের ব্যাটিং বিপর্যয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পুরো সিরিজেই মিডলঅর্ডারে দলের হাল ধরার মতো কোনো ব্যাটসম্যানকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এই ঘাটতি পূরণে অভিজ্ঞ শোয়েব মালিককে দলে দেখতে চান পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ব্যাটিং টেনে নিয়েছে দলের টপ অর্ডার। বাবর আজম, ফখর জামান, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ইমাম-উল-হক ভালো করলেও মিডল অর্ডারে আসিফ আলি, হায়দার আলি, ফাহিম আশরাফরা সুবিধা করতে পারেননি। এই সাত ম্যাচে ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরের পরে নামা কোনো ব্যাটসম্যানের ৪০ ছাড়ানো ইনিংস নেই।
বিষয়টি চোখে পড়েছে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদির। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি এই জায়গাটিতে নজর দিতে বললেন পাকিস্তানের ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক আফ্রিদি। ভারতের মাটিতে অক্টোবরে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এই ঘাটতি পূরণে অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক মোক্ষম অস্ত্র হতে পারে বলে মনে করেন আফ্রিদি।
এক টুইটবার্তায় আফ্রিদি বলেন, “সিরিজ জয়ের জন্য পাকিস্তান দলকে অভিনন্দন। তবে এই জয়ের পরও মিডল অর্ডার নিয়ে পর্যালোচনার প্রয়োজন আমাদের। মনে হচ্ছে অনেক দিন থেকেই আমরা এখানে ধুঁকছি। আমার মনে হয়, শোয়েব মালিককে আবার অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে, বিশেষ করে এটি যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছর।”
উল্লেখ্য, ৩৯ বছর বয়সী শোয়েব মালিক ২০১৯ সালের জুনে ইংল্যান্ড সফরের পর আর সুযোগ পাননি দলে। তবে এর মধ্যে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ ও পাকিস্তানের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে নিজ দলের শিরোপা জয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন তিনি। চলতি বছর স্থগিত হয়ে যাওয়া পাকিস্তান সুপার লিগেও রানে ছিলেন তিনি।