ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার
করোনা (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলা লকডাউনের মধ্যে দ্বিতীয় কার্যদিবস রবিবার দেশের বাজারে মূল্যসূচক ও লেনদেন বেড়েছে। ফলে লকডাউনে দুই কার্যদিবসেই শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকল।
গত ১৪ থেকে শুরু হয় লকডাউন, যা ২১ এপ্রিল শেষ হবে। প্রথমে ব্যাংক বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে নতুন নির্দেশনায় জরুরি প্রয়োজনে ব্যাংক খোলা রাখার কথা বলা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিত্রে শেয়ারবাজারের লেনদেনও চালু রাখা হয়।
পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে প্রথম লেনদেন হয়। ওই দিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়। ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়ে ৫১ পয়েন্ট। আর সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক বাড়ে ১৮৭ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় কার্যদিবস রবিবার লেনদেনের শুরুতে মূল্যসূচকের বেশি অস্থিরতা দেখা যায়। প্রথম ঘণ্টার লেনদেন কয়েক দফা সূচকের উত্থান-পতন হয়। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন শুরু হলেও ২৫ মিনিটের মাথায় সূচকটি ৯ পয়েন্ট পড়ে যায়। তবে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়। কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যে আবার ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সূচক। বেলা ১১টা ১০ মিনিটে ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক হারায় ১৭ পয়েন্ট। তবে শেষ এক ঘণ্টার লেনদেনের পুরোটা সময় ঊর্ধ্বমুখী থেকেছে শেয়ারবাজার। শেষদিকের লেনদেনে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ায় সকটি মূল্য সূচক ঊর্ধ্বমুখী থেকে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৩১ পয়েন্টে উঠে আসে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৪০ পয়েন্টে অবস্থানে আসে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২১১ পয়েন্টে দাঁড়ায়।
মূল্যসূচকের উত্থানের সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয় ৬০২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৫৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনেদেন বেড়েছে ৪৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ৩৪ পয়েন্ট বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৫টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির দাম।