এই ৬টি নিয়ম মেনে চললে রমজানে সারাদিন পানি পিপাসা কম লাগবে
মুসলিমদের জন্য সবচেয়ে আনন্দের ও পবিত্র মাস হলো রমজান। আল্লাহ ও রসুলের সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে রমজানে সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকে মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষ। গ্রীষ্মের তাপদাহে সারাদিন পানি না খাওয়ার ফলে শরীরে দেখা দিতে পারে পানির ঘাটতি। এ ঘাটতি মোকাবেলা করার জন্য ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত এমন কিছু খাবার খেতে হবে যা সারাদিন শরীরকে হাইড্রেট রাখে। রোজা রাখাকালীন সারাদিন গলা মুখ শুকানো এড়াতে কী করা উচিত চলুন জেনে নেওয়া যাক।
দই
এককাপ দইয়ে শতকরা ৮৫ ভাগ পানি থাকে। এ ছাড়া দই দিয়ে আপনি স্মুদি, লাবাং বানাতে পারেন। দই পেট ভালো রাখতেও সাহায্য করে। দইয়ের সাথে কিছু শুকনো ফল মিশিয়ে খেয়ে নিন ইফতার বা সাহরির সময়।
রোদ এড়িয়ে চলুন
যতটা সম্ভব চেষ্টা করুন রোদে না থাকতে। কারণ রোদে আপনার শরীরে ঘাম হবে আর এই ঘাম হলে পানি তৃষ্ণা লাগবে বেশি। শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখার চেষ্টা করুন। ইফতারের পর থেকে একটু একটু করে পানি খান সাহরি পর্যন্ত।
কফি পান বাদ দিন
ক্যাফেইন যেমন চা, কফি শরীর থেকে ফ্লুইড বের করে দেয় এর ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। তবে আপনি যদি চা, কফি পান একেবারেই বাদ দিতে না পারেন সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ একবার পান করুন।
পানিযুক্ত ফল ও সবজি
যেসব সবজি ও ফলে পানির পরিমাণ বেশি যেমন তরমুজ, টমেটো, লেটুস পাতা এগুলো খাবার প্লেটে রাখার চেষ্টা করুন। শরীর হাইড্রেট করার পাশাপাশি এগুলো পুষ্টিগুণে ভরপুর।
ঝাল ও লবণাক্ত খাবার এড়িয়ে চলা
সারাদিন রোজা খাবার রাখার পর ঝালজাতীয় খাবার খাওয়া সকলের খুব পচ্ছন্দ। তবে খাওয়ার আগে এর ফলাফল কী হতে পারে চিন্তা করে নিন। একেতো এ জাতীয় খাবারে আপনার পানি পিপাসা লাগবে বেশি সেই সাথে খাবার হজমেও তৈরি হবে সমস্যা।
গোসল করা
ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন। তবে তা যেন অতিরিক্ত সময় নিয়ে না হয়। ভেজা তোয়ালে দিয়ে হাত মুখ মুছতে পারেন। শীতল ভাব ক্লান্তি অনেকটা দূর করে দেয়।