অবশেষে সোমবার মঙ্গলে উড়বে নাসার হেলিকপ্টার ইনজেনুইটি
প্রতীক্ষার অবসান শেষে অবশেষে মঙ্গলে উড়তে চলেছে নাসার হেলিকপ্টার ইনজেনুইটি। সোমবার এই হেলিকপ্টার তার প্রথম উড়ান শুরু করবে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ইনজেনুইটির উড়তে দেরি হচ্ছিল। তবে এবার সে পুরোপুরি প্রস্তুত।
শনিবার নাসার তরফে থেকে জানানো হয়েছে, ১৯ এপ্রিল সোমবার ইনজেনুইটি প্রথমবার মঙ্গলের মাটিতে উড়বে। তার কিছুক্ষণ পর থেকেই পৃথিবীর কাছে তথ্য আসা শুরু হবে। ভোর সাড়ে ৩টা নাগাদ তথ্য আসতে শুরু করবে বলে নাসা জানিয়েছে।
বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী চার পাউন্ডের এই হেলিকপ্টারকে প্রথমবার মঙ্গলের জেজেরো ক্রাটার থেকে ওড়ানো হবে। ইনজেনুইটির অপারেশন লিডার টিম ক্যানহ্যাম জানিয়েছেন, হেলিকপ্টারের অবস্থা ভালো। ঠিকঠাকই রয়েছে ইনজেনুইটি। কপ্টারের ব্লেডগুলি খুব ধীরে ও সতর্কভাবে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে সেগুলো কতটা হাওয়া কাটতে পারছে। রবিবার কপ্টারটিকে আনুভূমিকভাবে ওড়ানো হবে। ৩০ সেকেন্ড ধরে উড়বে এই কপ্টার। পারসেভেব়্যান্স রোভারের ছবিও তুলবে এটি।
তবে এই হেলিকপ্টারের মঙ্গলে রাত্রিযাপন কেমন হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। এর মধ্যস্থ হিটার একে ৪৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় রাখে কিন্তু মঙ্গলে তাপমাত্রা রাতের দিকে মাইনাস ১৩০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে নেমে যায়। তাই ইনজেনুইটিকে নিয়ে তৈরি হয়েছে চিন্তা।
পৃথিবীর মাটির চেয়ে মঙ্গলের মাটিতে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে উড়ে যাওয়া অনেক বেশি কঠিন। এর মাধ্যাকর্ষণ থাকলেও তা পৃথিবীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। এ ছাড়া এর বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মাত্র ১ শতাংশ। পৃথিবীতে দিনের বেলা যতটা এনার্জি আসে মঙ্গলে তার প্রায় অর্ধেক পরিমাণ সৌরশক্তি প্রাপ্ত হয়। রাতে এর তাপমাত্রা মাইনাস ১৩০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা মাইনাস ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কখনও এর নিচেও নেমে যেতে পারে। যার ফলে সুরক্ষিত বৈদ্যুতিক উপাদান ক্র্যাক করতে পারে।