ব্যাচেলর পয়েন্ট’ দেখা বাঙালির রুচি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তরুণ নির্মাতা
সদ্য সমাপ্ত ধারাবাহিক ব্যাচেলর পয়েন্টের সিজন থ্রির শেষ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু এর রেশ এখনো রয়ে গেছে। এখনো লাখো মানুষ ধারাবাহিকটির নতুন সিজন দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। দিনভর সোশ্যাল প্ল্যাটফরমে এ নিয়ে তাঁদের আহ্বান চলছেই। এরই মধ্যে একজন তরুণ নির্মাতা ব্যাচেলর পয়েন্ট ধারাবাহিকের দর্শকদের রুচি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন।
শাহাদাত রাসেল নামের ওই নির্মাতা বিখ্যাত কমেডিয়ান চার্লি চ্যাপলিনের জন্মদিন প্রসঙ্গে লিখতে গিয়ে বলেন, ব্যাচেলর পয়েন্টের একটা পর্বের কিছু অংশ আমি দেখেছিলাম। ব্যক্তি হিসেবে আমার ভীষণ পছন্দের ছোটভাই পলাশ এখানে কাবিলা চরিত্রে অভিনয় করেছে বলে।
রাসেল বলেন, আমার মনে হয়েছে যে ‘ভাদাইম্মার সাত বউ’ এবং ‘হিরো আলমের ভিডিও’র চাইতে ব্যাচেলর পয়েন্ট টেকনিক্যালি আধুনিক ও রিচ। ব্যাস এটাই একমাত্র তফাৎ পেয়েছি। স্ক্রিপ্ট ও ফিলোসফিটা একই। আমার কাছে ব্যাচেলর পয়েন্ট হচ্ছে বাঙালির রুচির যে দুর্ভিক্ষ চলছে তার ব্যারোমিটার।
অবশ্য নির্মাতা অমি বলেছে যে ‘যারা ব্যাচেলার পয়েন্ট কে ভাঁড়ামি বলে তারা কমেডিই বোঝে না’। হ্যাঁ আমি চার্লি চ্যাপলিন থেকে সারাজীবন অ্যাকশন শিখেছি কেবল। ক্ষমা করবেন চার্লি চ্যাপলিন অথর্ব ঊনমানুষের দেশে জন্মেছি বলেই আজকে আপনার জন্মদিনে এটা নিয়ে লিখতে হলো। শুভ জন্মদিন মায়াস্ত্রো।
সমালোচনাকারী রাসেল মূলত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এর মধ্যে পুনে তৃতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁর নির্মিত একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সেরা চিত্রনাট্যের পুরস্কার পেয়েছে।
যদিও রাসেলের তীর দর্শকদের রুচির দিকে। তারপরেও ব্যাচেলর পয়েন্ট নিয়ে সকল সমালোচনার জন্যই কাজল আরেফিন অমি সম্প্রতি কালের কণ্ঠের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি সফল এই জায়গায় যে, যে লোকটা আমাকে গালি দেয় তাকেও আমি বাধ্য করছি আমার কাজটা দেখার জন্য। দিস ইজ দ্য থিংক। সেকেন্ড থিংক হচ্ছে আপনি যে পাঞ্জাবি পরেছেন, পাঞ্জাবিটা আপনার পছন্দ হয়েছে, আপনি কিনেছেন- একই শোরুমে আমি যদি শপিংয়ে যাই তাহলে এই পাঞ্জাবিটা কিনব না। কারণ আমার ডার্ক কালারটা পছন্দ না, আমার পছন্দ লাইট কালার। সিম্পল, যেকোনো জিনিসের নেগেটিভ পজিটিভ দিক চলে আসে। তবে আমি সব সময় মেজরিটি কাউন্ট করি’।