কৃষ্ণাঙ্গ ফ্লয়েড হত্যায় পুলিশ কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত
জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের পর শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয় বিশ্বজুড়ে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বহিষ্কৃত শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিন। গত বছর মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরের সড়কে চৌভিন হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়া কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি মিনিয়াপলিস শহরের বরখাস্তকৃত পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিনের বিরুদ্ধে আরোপিত সবগুলো অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। পাশাপাশি নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার হেনেপিন কাউন্টি আদালতে এ রায় পড়ে শোনান জুরি বোর্ডের বিচারকরা।আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাসমূহের রিপোর্টে জানা যায়, একদিনের কম সময় নিয়ে ১২ সদস্যের জুরির একটি প্যানেল যুক্তরাষ্ট্র সময় মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) মামলাটির রায় ঘোষণা করেন। যুক্তরাষ্ট্র তথা বিশ্বের বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের ইতিহাসে এই রায় একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।ফ্লয়েডকে হত্যায় পুলিশ কর্মকর্তা চৌভিনের বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগই আদালতে প্রমাণ হয়েছে। ফলে চৌভিন ৪০ বছর কারাদণ্ডাদেশ পেতে পারেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। এদিন তার জামিনের আবেদন করলে সেটি প্রত্যাহার করে দেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে (ডেরেক চৌভিন) আট সপ্তাহের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এদিকে, রায় ঘোষণার সময় আদালতের বাহিরে জড়ো হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। এ সময় তারা ‘ন্যায়বিচার’ এবং ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারস’ বলে স্লোগান দিচ্ছিল। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি সারা দুনিয়ার মানবতাবাদী-বর্ণবাদ বিরোধী মানুষের নিন্দা ও প্রতিবাদে মুখরিত হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সাড়া বিশ্বে সমালোচনার ঝড় তুলেছিল। তখন ফ্লয়েডকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আর শ্বাস নিতে পারছি না’। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন।খবর : বিবিসি।