ইরাকের উত্তরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তুরস্কের অভিযান
তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনী ইরাকের উত্তরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বৃহৎ আকারে সামরিক অভিযান শুরু করেছে। শুক্রবার থেকে শুরু হয় অভিযানটি। শনিবার সেটি আরও জোরদার করা হয়। ইরাকের উত্তরাঞ্চলে যেখানে অভিযান চালিয়েছে তুরস্ক সে অঞ্চলটিতে পিকেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর গোপন ঘাঁটি রয়েছে। সেখানে লুকিয়ে থেকে তারা তুরস্কের ওপর প্রায়শই হামলা চালায়। সেসব ঘাঁটি লক্ষ্য করে তুর্কি অ্যাটাক হেলিকপ্টার থেকে মুহুর্মুহু গুলি বর্ষণ করা হয়। ওই সন্ত্রাসীদের খতম করতে তুরস্ক একটি এফ-১৬ জঙ্গি বিমান, বর্ডার আর্টিলারি ইউনিট, ফায়ার সাপোর্ট এলিমেন্টসহ একটি অ্যাটাক হেলিকপ্টার নিয়ে অভিযানে নেমেছে। তুর্কি প্রেসিডন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান জানান, অনেক সন্ত্রাসীকে খতম করার পাশাপাশি তাদের অনেকগুলো গোপন আস্তানা ও গুহা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এরদোগান আরও বলেন, ইরাক, সিরিয়া, তুরস্কে সন্ত্রাসীদের কোনো স্থান নেই। পরে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হুলুজি অ্যাকার জানান, পদাতিক বাহিনী ৪০০ পিকেকে সন্ত্রাসীকে ঘায়েল করেছে। অপরদিকে অ্যাটাক হেলিকপ্টার আরও ৬০ সন্ত্রাসীকে ঘায়েল করতে সক্ষম হয়েছে। তুরস্কের সামরিক বাহিনী নিয়মিতভাবে ইরাকের উত্তর সীমান্তে সন্ত্রাসী দমনে অভিযান চালিয়ে আসছে। ইরাকের ওই অঞ্চলের সন্ত্রাসীদের দমনে ইরাকের সরকারকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে আঙ্কারা। এর আগে আঙ্কারা জানায়, যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয়া হয় তবে তা হবে সন্ত্রাসীদের হুমকি পেয়ে মুখ লুকিয়ে বসে থাকা। প্রসঙ্গত, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কর্তৃক সন্ত্রাসী ঘোষিত পিকেকে নারী ও শিশুসহ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে দাবি করা হয়। প্রেসিডেন্ট এরদোগান আরও বলেন, এই অভিযান ইরাকের ওই অঞ্চলের নিরাপত্তারক্ষার্থে দেশটির সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই পরিচালনা করা হচ্ছে।