ড্র করতে করতেই একদিন জিততে শিখব : খালেদ মাহমুদ সুজন
খেলোয়াড়ী জীবনে তার উপাধি ছিল ‘ফাইটার’। এখন বিসিবি কর্মকর্তা হিসেবেও তিনি সবসময় আলোচনায় থাকেন। শ্রীলঙ্কা সফররত বাংলাদেশ দলের টিম লিডার খালেদ মাহমুদ সুজনকে নিয়ে মাশরাফি-সাকিবের প্রশংসাবাণী সবার জানা হয়ে গেছে। আজ দলের প্রতিনিধি হিসেবে মিডিয়ায় কথা বলেছেন সুজন। পাল্লেকেলেতে প্রথম টেস্ট ড্র করেছে বাংলাদেশ। সুজন মনে করেন, এভাবে ড্র করতে করতেই দল একদিন নিয়মিতভাবে টেস্ট ক্রিকেটে জিততে শুরু করবে।
আজ সোমবার শ্রীলঙ্কা থেকে বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় সুজন বলেছেন, ‘আমরা নিজেদের একটা টেস্ট দল হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। এই ছেলেরাই নিজেদের গড়ে তুলতে পারে। আমরা যদি এভাবে টেস্ট ম্যাচে প্রতিযোগিতা করতে পারি, একটা বছর যদি অন্তত ড্র করতে পারি, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, ব্যাটসম্যানরা যদি দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করে, তবে একটা সময় আসবে যখন আমরা টেস্ট ম্যাচ জেতা শিখব ইনশা আল্লাহ। নিয়মিত টেস্ট ম্যাচ জিতব, আমাদের জন্য ধারবাহিকতা ধরে রাখা খুব জরুরি।’
পাল্লেকেলের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে দুই দলের ব্যাটসম্যানরাই রানবন্যা বইয়ে দিয়েছে। দুই দলেই দুটো করে তিন অংকের ইনিংস। সুজন বলেন, ‘এই উইকেটে ফল হওয়া খুবই কঠিন। পরের টেস্টে অন্য রকম কিছু অপেক্ষা করছে মনে হয়। উইকেট না দেখে সেটা এখনই বলা যাবে না। সিমিং উইকেট হতে পারে, কিন্তু কতটুকু সিমিং হবে আমরা জানি না। স্পিন উইকেটও হতে পারে। কিন্তু ফ্ল্যাট উইকেট হবে না। কারণ, শ্রীলঙ্কা দলও হয়তো পছন্দ করেনি প্রথম টেস্টের উইকেটটা।’
তারপরেও ক্রিকেটারদের পারফর্মেন্সে ভীষণ খুশি সুজন আরও বলেন, ‘যেভাবে ছেলেরা ব্যাট করেছে, তাতে আমি খুব খুশি। তামিমের দুটি ইনিংসই অসাধারণ ছিল। প্রথম ইনিংসের ৯০ রান তো আমাদের পুরো ড্রেসিংরুমের আবহই পরিবর্তন করে দিয়েছে। চাপের মুখে শান্ত (নাজমুল) যেভাবে নিজেকে মেলে ধরেছে, প্রথম ইনিংসে যেভাবে ব্যাট করেছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য। মুমিনুলকে নিয়ে বলা হয় দেশের বাইরে রান করতে পারে না। কিন্তু মুমিনুলও দারুণ ব্যাট করেছে। মুশফিক, লিটন দুজনই ভালো সমর্থন দিয়েছে দলকে। আমার বিশ্বাস, ব্যাটিংয়ের এই ধারাবাহিকতা আমরা ধরে রাখতে পারব।’