স্পেনের রাজার কাছে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ স্পেনের রাজকীয় প্রাসাদে মহামহিম রাজা ষষ্ঠ ফিলিপের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। আজ সোমবার তিনি পরিচয়পত্র পেশ করেন।
পরিচয়পত্র পেশের পর স্পেনের রাজা এবং বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের মধ্যে একটি একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রাজা নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। রাষ্ট্রদূত রাজাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই যে গুটিকয়েক রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল স্পেন তার মধ্যে অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আর্থসামাজিক উন্নয়নে দ্রুতবেগে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমার থেকে আগত বাস্তুচ্যুত ১.১ মিলিয়ন রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা ব্যক্ত করে রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের স্বদেশভূমি মিয়ানমারে সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে স্পেন সরকারের অব্যাহত ও কার্যকরী সহযোগিতা কামনা করেন। বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত সম্ভাবনার নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি ফরেন অফিস কনসালটেশন, দৈত কর পরিহার, দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ সম্প্রসারণ ও সংরক্ষণ এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি সম্পাদনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি স্পেনে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধি ও বাংলাদেশে স্প্যানিশ বিনিয়োগ সম্প্রসারণের জন্য রাজার সহযোগিতাও কামনা করেন। রানী সোফিয়ার বাংলাদেশে কয়েকবার ভ্রমণের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত রাজাকে বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান।
স্পেনের রাজা রাষ্ট্রদূতের উত্থাপিত বিষয়সমূহ গুরুত্ব সহকারে শ্রবণ করেন এবং সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি রাষ্ট্রদূতের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করেন। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দানের জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন এবং সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষীয় বাণিজ্যে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ বৈঠকে স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।