ঢাবিতে ছাত্রীকে শিক্ষিকার লাথি !
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মাস্টার্সের এক ছাত্রীকে লাথি মারার অভিযোগ এনেছেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের তৃতীয় তলায় মনোবিজ্ঞান বিভাগে লাথি মারার ওই ঘটনা ঘটে।
মার-খাওয়া ওই ছাত্রীর নাম রোকসানা পারভিন। তিনি মাস্টার্স দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর একটায় গবেষণার কাজে ওই ছাত্রী বিভাগের প্রোজেক্ট সুপারভাইজার জামিয়ুন নাহারের সঙ্গে দেখা করতে যান। কিছুক্ষণ পর অধ্যাপক আয়েশা মাহমুদা ওই কক্ষে প্রবেশ করেন এবং ওই ছাত্রীকে দেখে প্রচন্ড বিরক্তি প্রকাশ করেন। পরে তিনি কক্ষ ত্যাগ করার সময় ওই শিক্ষার্থীকে রক্ষিতাসহ বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে যাওয়ার সময় তিনি রোকসানাকে লাথি মারেন।
বিষয়টি বিভাগের অন্য শিক্ষার্থীরা জানতে পেরে প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং শিক্ষিকার বিচারের দাবিতে জড়ো হন।
এরই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই শিক্ষিকা অফিসে এলে তাকে তালা দিয়ে আটকিয়ে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে তালা ভেঙে শিক্ষিকাকে বের করে নিয়ে যান।
বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিষয়টির বিচারের দাবিতে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় তারা উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে আয়েশা মাহমুদের মোবাইল নম্বরে বারবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে প্রোজেক্ট সুপারভাইজার জামিয়ুন নাহার বলেন, আমি ওই ছাত্রীকে গালি দিতে শুনেছি। তবে টেবিলের বিপরীত দিকে থাকায় লাথি মারতে দেখিনি।
বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. পারভীন হক বলেন, শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এ এম আমজাদ আলী বলেন, মঙ্গলবার লাথি মারার ওই ঘটনা ঘটে। তবে আমি জানতে পারি বুধবার। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে উপয্ক্তু ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।