শ্রীলঙ্কায় মন্ত্রিসভায় বোরকা নিষিদ্ধের প্রস্তাব অনুমোদন
মুসলমান নারীদের জনসমক্ষে বোরকাসহ পুরো মুখ ঢেকে রাখা পোশাক পরায় নিষেধাজ্ঞার একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভা। দেশটি এর কারণ হিসেবে জাতীয় নিরাপত্তার কথা বললেও জাতিসঙ্ঘ বলছে, এটি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করবে। দেশটির জননিরাপত্তামন্ত্রী শরৎ ভিরাসেকারা তার ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন, এ সংক্রান্ত তার প্রস্তাবটি মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে পাস হয়েছে। বোরকাকে কেবল একটি কাপড় হিসেবে উল্লেখ করে জননিরাপত্তা মন্ত্রী শরৎ ভিরাসেকেরা বলেন, এটি কিছু মুসলিম নারী শরীর ও মুখ ঢাকতে ব্যবহার করেন। তার দাবি, বোরকা ‘ধর্মীয় চরমপন্থার প্রতীক’ এবং এটা নিষিদ্ধ করা হলে ‘জাতীয় নিরাপত্তার উন্নতি হবে’। প্রস্তাবটি এখন অ্যাটর্নি জেনারেলের দফরে পাঠানো হবে এবং এটি আইনে পরিণত হতে হলে অবশ্যই সংসদে পাস হতে হবে। তবে, যেহেতু সংসদে সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, তাই এটি যে সহজেই পাস হয়ে যাবে তা অনেকটাই অনুমেয়। শ্রীলঙ্কার মোট ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা প্রায় ৯ শতাংশ। দেশটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৭০ শতাংশেরও বেশি। এছাড়া ধর্মীয় ভাবে হিন্দু ও জাতিগত তামিল জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ১৫ শতাংশ। গত মাসে টুইটারে দেয়া এক বার্তায় পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত বলেন, বোরকা নিষিদ্ধ করা হলে তা মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করবে। এছাড়া টুইটারে দেয়া অন্য এক বার্তায় ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূত আহমেদ শহীদ বলেন, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক আইনের সাথে মানানসই নয় এবং একইসাথে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকারের পরিপন্থী। দেশটিতে ২০১৯ সালে সংঘটিত ইস্টার সানডেতে বোমা হামলার পর থেকে বোরকার উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। খবর : আলজাজিরা।