আগরওয়ালের কাছে সাকিবদের তথ্য পাচার করেননি- দাবি হিথ স্ট্রিকের
ক্রিকেটবিশ্বকে চমকে দিয়ে আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়েছেন জিম্বাবুয়ের সোনালী দিনের পেস কিংবদন্তি হিথ স্ট্রিক। বাংলাদেশের সাবেক এই পেস বোলিং কোচকে দুর্নীতি দমন বিধির কয়েকটি ধারা ভঙ্গ করায় ৮ বছর নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। স্ট্রিকের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর মাঝে গুরুতর বিষয়টি হলো, তিনি ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত তথ্য জুয়াড়িদের কাছে পাচার করতেন। যার মাঝে আছেন বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল।
২০১৭ বিপিএলের সময় স্ট্রিককে ব্যবহার বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের ভেতরের তথ্য বের করেন সেই দীপক আগারওয়াল। যার সঙ্গে মেসেজ আদানপ্রদানের কারণে সাকিব আল হাসানকে এক বছর নিষিদ্ধ থাকতে হয়। এরপর ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে বাংলাদেশে ত্রিদেশীয় সিরিজ, ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তান সিরিজ, ২০১৮ আইপিএল ও ২০১৮ আফগান প্রিমিয়ার লিগের সময় ভেতরের তথ্য বাইরে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন স্ট্রিক।
নিষেধাজ্ঞার পর আজ বৃহস্পতিবার প্রথম মুখ খুললেন ৪৭ বছর বয়সী সাবেক এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। দীপক আগরওয়ালের সঙ্গে পরিচয়ের কথাও তিনি স্বীকার করেছেন। এক বিবৃতিতে স্ট্রিক বলেছেন, ‘কোনো ম্যাচ ফিক্সিং, স্পট ফিক্সিং বা ম্যাচকে প্রভাবিত করার চেষ্টা বা ম্যাচ চলাকালীন ড্রেসিং রুম থেকে তথ্য প্রকাশ করার সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম না। আইসিসি নিজেই তার বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে আমার আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।’
দীপক আগরওয়ালের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে স্ট্রিকের বক্তব্য, ‘২০১৭ সালে, আফ্রিকার ক্রিকেটে বিনিয়োগের জন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে আমি দেখা করি, বিশেষ করে তারা জিম্বাবুয়েতে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টকে স্পন্সর করতে চেয়েছিল, যেটির নাম হবে সাফারি ব্লাস্ট। পরবর্তীতে সেই ব্যক্তিকে যথাযথ প্রোটোকলের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়েছিল। সত্যি বলতে বন্ধুত্ব এবং সম্ভাব্য ব্যবসায়ের অংশীদারিত্ব প্রসারিত করতেই আমি জড়িয়েছিলাম। আমাদের সম্পর্ক সবসময় ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। আমি বিশ্বাস করি, এটা নিরাপদ জায়গা ছিল।’
আইসিসির নিষেধাজ্ঞার পর জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডও স্ট্রিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছে বলে খবর। তবে সেই দীপক আগরওয়ালের কাছ থেকে ক্রিকেট জুয়া বাবদ তিনি কোনো অর্থ গ্রহণ করেননি বলে দাবি করেছেন স্ট্রিক। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বন্ধুত্ব থেকে শুধুমাত্র অন্য একটি জিনিস আমি গ্রহণ করেছিলাম, হুইস্কির বোতল এবং আমার স্ত্রীকে উপহার দেওয়া একটি ফোন। বেশ কয়েক মাস পর আইসিসি বিষয়টি আমার নজরে আনে যে, আমি যার সঙ্গে আমি কাজ করেছি এবং আমাদের বন্ধুত্ব চলাকালীন কিছু তথ্য ভাগাভাগি করেছি, তা অনলাইনে বেটিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।’