তাদের মানববন্ধনে লোকসংখ্যা দেখে আমাদের লজ্জা লাগে : তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিষোদগারের রাজনীতি পরিহার করে সরকারের সাথে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিএনপি ও নাগরিক ঐক্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।
ড. হাছান বলেন, আমি মির্জা ফখরুল সাহেব এবং তার জোটের নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ জানাব, প্রতিদিন সরকারের প্রতি বিষোদগার না করে আওয়ামী লীগ যেভাবে জনগণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়েছে, আপনারাও সেভাবে জনগণের পাশে দাঁড়ান। আসুন আমরা একসাথে জনগণের জন্য কাজ করি। আমাদের দরজা খোলা আছে, আমরা একসাথে জনগণের জন্য কাজ করতে পারি। কিন্তু আপনারা জনগণের পাশে দাঁড়াবেন না আর প্রতিদিন মিথ্যাচার করবেন, গুজব রটাবেন এটা বরদাস্ত করা যাবে না, কারণ অসত্য কখনো গ্রহণযোগ্য নয়।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার খেটে খাওয়া মানুষের সরকার, আওয়ামী লীগ সরকার গরিব-মেহনতি মানুষের সরকার এবং সেই কারণে আওয়ামী লীগ সরকার এবং তার দল আজকে খেটে খাওয়া মেহনতি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অন্যদিকে বিএনপি এবং তাদের কিছু মিত্র যারা কখনো ২০ দলীয় জোট আবার কখনো ঐক্যজোট-নানা নামে আবির্ভূত হয়, তাদের নিজেদের মধ্যে ঐক্য নাই তারা জনগণের পাশেও নাই।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আবার যারা নাগরিক ঐক্যের নামে পর্দার অন্তরালে থেকে ভার্চুয়ালি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আর মাঝে মধ্যে ছিঁটেফোঁটা কয়েকজনকে নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন, তাদের মানববন্ধনে লোকসংখ্যা দেখে আমাদের লজ্জা লাগে, মনে হয়- ‘ছোট পরিবার, সুখী পরিবার’।
ড. হাছান দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, তাদের (নাগরিক ঐক্যের) মানববন্ধনে এক শ লোক হয় না, সেখানে মানুষের জন্য এক ছটাক চাল নিয়েও তারা উপস্থিত হয় না, অথচ সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। সরকারের বিরুদ্ধে অহেতুক সমালোচনা না করে জনগণের পাশে দাঁড়ান। জনগণকে সহায়তা করাই এখন একমাত্র রাজনীতি হওয়া বাঞ্ছনীয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফীর সভাপতিত্বে এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আজাহার আলীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট নূরুল আমীন রুহুল, সহসভাপতি শরফুদ্দিন আহম্মেদ সেন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুর্শেদ কামাল, প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিতু আক্তার প্রমুখ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানে দুই শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে ঈদ উপহার সামগ্রী তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।