দিন শেষে শ্রীলঙ্কা ২৫৯ রানে এগিয়ে
বাংলাদেশের চেয়ে ২৫৯ রানের লিড নিয়ে পাল্লেকেলে টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ করেছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। ১৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর সাবধানে দিনের বাকি সময়টা কাটিয়ে দেন অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে (১৩*) এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ (১*)। এর আগে ২৫১ রানে অল-আউট হওয়া বাংলাদেশকে ফলোঅন করানোর সুযোগ পেয়েও তা করায়নি লঙ্কানরা। তৃতীয় দিনের শেষবেলায় স্বাগতিকরা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামে।
চলতি শ্রীলঙ্কা সফরে টপাটপ ক্যাচ ফেলা বাংলাদেশি ফিল্ডারদের মাঝে অগ্রগণ্য হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টানা দুই টেস্টের দুই ইনিংসে ‘ডাক’ মারার পাশাপাশি তিনি তাসকিন আহমেদের বলে একাধিক ক্যাচ ছেড়েছেন। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয়েছে ২৫১ রানে। এরপর বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামে শ্রীলঙ্কা। তবে শুরু থেকেই তাদের চেপে ধরেন বাংলাদেশের দুই স্পিনার মেহেদি মিরাজ আর তাইজুল ইসলাম।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই মিরাজের বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান লাহিরু থিরিমান্নে (২)। স্লিপে দাঁড়ানো শান্ত এবার ক্যাচটি নিতে ভুল করেননি। লঙ্কানদের দ্বিতীয় ইনিংসে পরবর্তী আঘাত হানেন তাইজুল। তার বলে আউট হয়ে যান প্রথম ইনিংসে ৮১ রান করা ওশাদা ফার্নান্দো (১)। উইকেটের পেছন থেকে ক্ষিপ্র গতিতে ফার্নান্দোকে স্টাম্পড করেন লিটন দাস। ১৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে একটু বিপদে পড়ে শ্রীলঙ্কা। দিনশেষ তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৭ রান।
৬ উইকেট নিয়ে একাই বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস ধসিয়ে দিয়েছেন প্রবীণ জয়াবিক্রমা। শ্রীলঙ্কা ৪৯৩ রানে ইনিংস ঘোষণার পর নিজেদের প্রথম ইনিংস খেলতে নামে বাংলাদেশ। ৯৮ রানের দারুণ ওপেনিং জুটি উপহার দেন তামিম ইকবাল এবং তরুণ সাইফ হাসান। সাইফ ২৫ রানে আউট হলে উইকেটে আসেন শান্ত। এরপর যথারীতি ৬ বলে ‘ডাক’ মেরে ফিরে যান। আগের ইনিংস থেকে বলও দুটি কম খেলেছেন। দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল আজও ছিলেন দুর্দান্ত। ক্যারিয়ারের দশ নম্বর টেস্ট সেঞ্চুরিটা হয়েই যাচ্ছিল প্রায়। কিন্তু আবার সেই নড়বড়ে নব্বই!
গত টেস্টের দুই ইনিংসে ৯০ এবং ৭৪* রান করা তামিম আজ ফের ৯২ রানে জয়াবিক্রমার শিকার হন! তার ১৫০ বলের দারুণ ইনিংসে ছিল ১২টি চারের মার। এরপর অধিনায়ক মুমিনুল হক আর মুশফিকুর রহিম চেষ্টা করেছিলেন। তবে দুজনেই যথাক্রমে ৪৯ এবং ৪০ রানে আউট হয়ে ফিরলে ফলোঅনের শংকায় পড়ে বাংলাদেশ। লিটন দাস আউট হন ৮ রান করে। মেহেদি মিরাজ ৩৩ বলে ১৬ রান করে জয়াবিক্রমার ৫ম শিকারে পরিণত হন। তাসকিন আর শরিফুল দুজনেই ‘ডাক’ মারেন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে পা পিছলে জুতা খুলে অদ্ভুতভাবে হিট আউট হন ৫০ বলে ৯ রান করা তাইজুল। সঙ্গে সঙ্গে ২৫১ রানেই প্যাকেট হয় বাংলাদেশ! শেষ ৭ উইকেট পড়েছে মাত্র ৩৭ রানে! প্রথম ইনিংস থেকে শ্রীলঙ্করা লিড হয় ২৪২ রানের।