ইউরোপা লীগে রোমাঞ্চকর টাইব্রেকারে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভিয়ারিয়াল
বুধবার রাতে পোল্যান্ডের দানস্কে অনুষ্ঠিত ইউরোপা লীগ ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে ১-১ সমতা থাকায় অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। সেখানেও সমতা থাকলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। রোমাঞ্চকর এক লড়াই শেষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে ইউরোপা লিগ জিতে ইতিহাস গড়ল ভিয়ারিয়াল। যেখানে ১১-১০ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে চ্যাম্পিয়নের মুকুট পড়ে ভিয়ারিয়াল। ধারে-ভারে ভিয়ারিয়াল থেকে যোজন যোজন এগিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবুও স্প্যানিশ দলটির ম্যানেজার উনাই এমেরি বলেই ইংলিশদের ভয় ছিল। সেভিয়ার কোচ হিসেবে ২০১৩-২০১৬ টানা তিনবার ইউরোপা লীগ শিরোপা জিতেছেন এমেরি। আশঙ্কা সত্যি হলো, স্পেনের ক্লাবটি নিজেদেরে ৯৮ বছরের ক্লাব ইতিহাসে এই প্রথম কোনো বড় শিরোপা জিতল। ম্যাচের ২৯ মিনিটে জেরার্ত মোরেনো গোল করলে এগিয়ে যায় ভিয়ারিয়াল। প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় তারা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ৫৫ মিনিটে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পক্ষে সমতা ফেরান এদিনসন কাভানি।এরপর নির্ধারিত সময়ে ও অতিরিক্ত সময়েও কোনো দল গোল না পেলে পেনাল্টিতে গড়ায় ম্যাচ। দুই দলের এই পেনাল্টির লড়াইটিকে মহাকাব্যিক পেনাল্টিই বলা চলে। যেখানে একে একে দুই দলেরই ১০ জন করে খেলোয়াড় স্পট কিক নেন এবং সবাই গোল করেন। ১১ নম্বরে শটে গিয়ে আটকে যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তখন শুধু দুই দলের গোলরক্ষকই শট নেওয়া বাকি ছিল। স্নায়ুর চূড়ান্ত লড়াইয়ে ভিয়ারিয়াল গোলকিপার গেরোনিমো রুল্লি সফল হলেও ইউনাইটেড গোলরক্ষক দে হেয়া গোল করতে ব্যর্থ হন। হেয়ার শট রুখে দেন গেরোনিমো রুল্লিই। আর তাতেই ভিয়ারিয়াল মাতে ইতিহাস গড়ার আনন্দে। ফাইনাল হেরে ইউনাইটেড কোচ হিসেবে মেজর ট্রফি জয় অধরাই রইল ওলে গানার সোলশারের।