বিসিবির অর্থায়নে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের জৈব সুরক্ষাবলয়, রাখা হবে তারকাখচিত হোটেলে
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের জন্য বড় অঙ্কের বাজেট নিয়ে মাঠে নামছে বিসিবি। দলগুলোকে রাখা হবে তারকাখচিত হোটেলে। ১২ দলকে বিসিবির খরচেই রাখা হবে জৈব সুরক্ষাবলয়ে। করোনামুক্ত লিগ আয়োজনে বিসিবির এই চেষ্টার পরও যদি কেউ জৈব সুরক্ষাবলয় ভাঙে, তাদের জন্য শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে। ৩১ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্টের জৈব সুরক্ষাবলয় ভাঙলে জরিমানা, বহিষ্কার এমনকি ক্লাবের পয়েন্টও কাটা হতে পারে। সিসিডিএমের সদস্যসচিব আলী হোসেন বলেছেন, ‘বিষয়গুলো দেখার জন্য আমাদের প্রতিনিধি থাকবে সব জায়গায়। তারা যদি দেখে যে কোনো নিয়ম ভাঙা হচ্ছে, তাহলে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দরকার হলে দলের পয়েন্টও কাটা যাবে।’করোনাভাইরাসের মধ্যেই গত মার্চে জাতীয় লিগ দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু হয়। কিন্তু ক্রিকেটার ও কর্মকর্তা মিলিয়ে ১১ জনের করোনা ধরা পড়ায় মাঝপথে লিগ স্থগিত হয়ে যায়। জৈব সুরক্ষাবলয় নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন। সে কারণেই এবার বিসিবির বাড়তি সতর্কতা। জৈব সুরক্ষাবলয়ে ঢোকার আগে প্রিমিয়ার লিগের ১২টি ক্লাবের ক্রিকেটার ও কর্মকর্তা মিলিয়ে প্রায় ৩০০ জনের করোনা পরীক্ষায় ৯ জন পজিটিভ হয়েছেন। তারা হলেন প্রাইম ব্যাংকের নাহিদুল ইসলাম, অমিত মজুমদার ও মনির হোসেন, লিজেন্ড অব রুপগঞ্জের পিনাক ঘোষ, প্রাইম দোলেশ্বরের রেজাউর রহমান ও তৌকির খান; আবাহনীর শাহীন আলম ও ব্রাদার্সের আবু রেজা মোহাম্মদ শরিফুল হাসান এবং নাঈম ইসলাম জুনিয়র। তাঁদের মধ্যে শাহীনের ফলস পজিটিভ এসেছে বলে জানিয়েছে । বাকিদের গতকাল আবার করোনা পরীক্ষার নমুনা দেওয়ার কথা। সব দলের ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের দ্বিতীয় দফা করোনা পরীক্ষা হওয়ার কথা। এরপর ২৯ মে দলগুলো জৈব সুরক্ষাবলয়ে প্রবেশ করার পর ৩১ মে শুরু হবে প্রিমিয়ার লিগের খেলা। প্রথম পাঁচ রাউন্ডের খেলা চলবে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত।এবারের লিগে অংশ নেওয়া ১২টি দলকেই জৈব সুরক্ষাবলয়ে রাখবে বিসিবি। ক্রিকেটাররা থাকবেন ঢাকার চারটি তারকাখচিত হোটেলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল, সোনারগাঁও, আমারি ও ওয়েস্টিন। ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে থাকবে আবাহনী, শাইনপুকুর ও ডিওএইচএস। সোনারগাঁওয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি, গাজী গ্রæপ ক্রিকেটার্স ও ব্রাদার্স। আমারিতে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ, প্রাইম দোলেশ্বর ও পারটেক্স। ওয়েস্টিনে রাখা হবে প্রাইম ব্যাংক, মোহামেডান ও খেলাঘরের ক্রিকেটারদের। জৈব সুরক্ষাবলয়ের বিশাল খরচ বহনের পাশাপাশি বিসিবি ক্লাবগুলোকে আর্থিকভাবে সহায়তা করারও আশ্বাস দিয়েছে বলে জানা গেছে। টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এবারের লিগে খেলা হবে তিনটি ভেন্যুতে। তবে প্রয়োজেন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম এবং বিকেএসপির দুই মাঠের পাশাপাশি খেলা হতে পারে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামেও।