শ্রীলঙ্কা উপকূলে ডুবছে রাসায়নিক ভর্তি জাহাজ
শ্রীলঙ্কা উপকূলে ডুবে যাচ্ছে রাসায়নিক ভর্তি একটি কার্গো জাহাজ। আর এতে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে। সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত এক্স-প্রেস পার্ল নামের জাহাজটির আগুন এই সপ্তাহে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তার আগে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে জ্বলতে থাকে। এটি ডুবে গেলে এর জ্বালানি ট্যাংক থেকে শত শত টন তেল সাগরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর তাতে বিপর্যস্ত হবে আশেপাশের সামুদ্রিক পরিবেশ।জাহাজটির আগুন নেভাতে এবং ডুবে যাওয়া ঠেকাতে গত কয়েক দিন ধরেই যৌথভাবে কাজ করছে শ্রীলঙ্কা এবং ভারতের নৌবাহিনী। কিন্তু উত্তাল সমুদ্র এবং মৌসুমী বাতাসের কারণে ব্যাহত হচ্ছে সেই অভিযান।শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনীর মুখপাত্র ক্যাপ্টেন ইন্দিকা সিলভা বলেন, ‘জাহাজটি ডুবে যাচ্ছে। উদ্ধারকারীরা ডোবার আগে জাহাজটিকে গভীর সমুদ্রে পাঠানোর চেষ্টা করছে যাতে সমুদ্র দূষণের ক্ষয়ক্ষতি অপেক্ষাকৃত কম হয়। কিন্তু জাহাজটির পেছনের অংশ ভেঙে গেছে।জাহাজটি ডুবতে শুরু করার পর শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে প্রাচীন বিচগুলোর একটি নেগোমবো শহরের কাছে উপকূলে ইতোমধ্যে তেল ও ধ্বংসাবশেষ দেখা যাচ্ছে। দেশটির মৎস্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নেগোমবো এবং আশেপাশের এলাকার প্রাণ রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পানাদুরা থেকে নেগোমবো পর্যন্ত মাছ ধরা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নাইট্রিক এসিড লিক হওয়া থেকেই জাহাজে আগুন লাগে। গত ১১ মে থেকে জাহাজের কর্মীরা ওই লিকের বিষয়ে জানতেন। জাহাজটির মালিক কোম্পানি এক্স-প্রেস শিপিং নিশ্চিত করেছে যে কর্মীরা লিকের বিষয়ে জানতো। কিন্তু আগুন শুরু হওয়ার আগে কাতার ও ভারত জাহাজটিকে নিজেদের সীমানায় প্রবেশের অনুমতি দেয়নি। পরে শ্রীলঙ্কা এটিকে প্রবেশের অনুমতি দেয়। আর তা নিয়ে দেশটিতে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে।জাহাজটির ক্যাপ্টেনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। ক্যাপ্টেনসহ জাহাজের কর্মীদের গত সপ্তাহে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার জাহাজটির ক্যাপ্টেন এবং প্রকৌশলীকে ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।খবর : বিবিসি।