‘পুঁজিবাজার থেকে ৬৮ প্রতিষ্ঠান ৪৮৩১ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করেছে’
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে জানিয়েছেন, বিগত ছয় বছরে আইপিওর (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) মাধ্যমে ৬৮টি প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজার থেকে চার হাজার ৮৩১ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করেছে। সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নোত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।
সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর (৩ জুন ২০২১) পর্যন্ত পুঁজিবাজারে ৬৮টি কম্পানিকে আইপিওর মাধ্যমে চার হাজার ৮৩১ কোটি এবং একটি কম্পানিকে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের মাধ্যমে সাড়ে ৭ কোটি টাকার মূলধন পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলনের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে ৫টি কম্পানির আইপিও এবং চারটি কম্পানির কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের আবেদন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
সরকারদলীয় আরেক সদস্য হাবিব হাসানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু যুবঋণ কার্যক্রমের আওতায় জামানতবিহীন ৯০১ কোটি টাকার বেশি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৫৮ হাজার ২৯৭ জন বেকার যুবককে এই ঋণ প্রদান করা হয়েছে। এতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দুই লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
একই প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, গ্রামে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেকার যুবকদের জামানত ছাড়া সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হয়। ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৭ লাখ ৩১ হাজার ৩৯ ঋণগ্রহীতার মাঝে ৮ হাজার ২২১ কোটি ৮৪ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে ২৬ লাখ ৩৯ হাজার ৮৭ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে।
বিএনপির সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মুস্তফা কামাল জানান, বিগত এক দশকের ক্রমাগত উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন কভিড-১৯-এর প্রভাবে সাময়িক বাধাগ্রস্ত হয়েছে। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেকর্ড ৮ দশকি ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে করোনাভাইরাসের কারণে তা কমে ৫ দশমিক দুই শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরো জানান, দেশে কভিডের প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব, দূরদর্শী ও নিরলস কর্মতৎপরতায় বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তেমন বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েনি; বরং বাংলাদেশ কভিড-১৯ মহামারির অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বিশ্বে সাফল্যের এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে।