চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালকে হারিয়ে কোয়ার্টারে বেলজিয়াম, ডাচদের হারিয়ে কোয়ার্টারে চেক রিপাবলিক
গোটা ম্যাচেই ভালো খেলেছে পর্তুগাল, গোল করেছে বেলজিয়াম। এবারের ইউরো কাপ জুড়েই দেখা গেছে এমনটা যে দল শুরু থেকেই ভালো খেলেছে, শেষ পর্যন্ত হারতে হয়েছে বেশির ভাগ ম্যাচেই। পর্তুগালের সঙ্গেও তেমনটাই ঘটল। ম্যাচের ৫৬ শতাংশ বল দখলে ছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নদের। পর্তুগালের ১৩ শটের মধ্যে ৪টি ছিল টার্গেট শট। বিপরীতে বেলজিয়ামের ৪ শটের ১টিই শিওর শট, সেটিই গোল। তবে প্রথমার্ধে বেশ আক্রমণাত্মক ছিল বেলজিয়াম। বল দখলের লড়াই আর পালটা আক্রমণে সমর্থকদেরও আনন্দ কম দেয়নি। কিন্তু প্রথমার্ধ শেষ হবার মিনিট তিন আগেই গোল খেয়ে বসে পর্তুগাল।৪২ মিনিটের মাথায় লুকাকুর বাড়িয়ে দেয়া বল ডি-বক্সে পেয়ে যান ডি ব্রুইন। ডি ব্রুইনের বাড়িয়ে দেয়া বল পেয়ে যান তমা মুনিয়ের। সেখান থেকে তিনি বল বাড়ান থোর্গান হ্যাজার্ডের দিকে। হ্যাজার্ড মোড় নিয়ে বুলেট গতির শট নেন পর্তুগালের জাল লক্ষ্য করে। থোর্গান হ্যাজার্ডের করা গোলে ১-০ ব্যবধানে পর্তুগালকে হারায় বেলজিয়াম। কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালির মুখোমুখি হবে বেলজিয়াম।
নক আউটের তৃতীয় ম্যাচেই প্রথম আপসেটের দেখা পেল ইউরো। গ্রুপ পর্বে শতভাগ জয়ের রেকর্ড নিয়ে নকআউট থেকে বিদায় হলো নেদারল্যান্ডস। আর ২০০৪ সালের ইউরোতে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৩-২ গোলের জয়ে যে প্রত্যাবর্তনের দুর্দান্ত গল্প রচনা করেছিল চেক রিপাবলিক, দু’দলের সাম্প্রতিক ফর্মের বিচারে চেকদের কাছে এই ম্যাচও তেমনি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।যোগ্য দল হিসেবেই শেষ আটে চলে গেল চেকরা। ডাচদের চেয়ে বেশি সংঘবদ্ধ, বেশি সতর্ক এবং গোলের সামনে বেশি ক্ষুধার্ত ছিল চেকরা। আর সেট পিস আটকানোয় পুরো ম্যাচেই নেদারল্যান্ডস ডিফেন্স ছিল নড়বড়ে। গোলরক্ষক স্টেকেলেনবার্গ একাধিকবার ফিস্ট করার জন্য এগিয়েও পরক্ষণেই দোটানায় ভুগে পেছনে চলে গিয়েছেন। এমন এক মুহূর্তেই ১০ জনে পরিণত হওয়া ডাচদের বিরুদ্ধে ম্যাচে এগিয়ে যায় চেক রিপাবলিক। ৬৮ মিনিটে টমাস কেলাসের হেডার অরক্ষিত অবস্থায় নিজ আয়ত্তে নিয়ে ডান পায়ের শটে চেকদের লিড এনে দেন টমাস হোলেস।আর ৮০ মিনিটে নেদারল্যান্ডসের কাছে ম্যাচ জয়কে পর্বত অতিক্রমের সমান করে ফেলেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা চেক ফরোয়ার্ড প্যাট্রিক শিক। চলতি টুর্নামেন্টে চতুর্থ গোলটি করার মাধ্যমে চেকদের শেষ আটে উঠা নিশ্চিত করেন বেয়ার লেভারকুসেনের এই ফরোয়ার্ড।