গোল্ডেন বুটের দৌঁড়ে এখনো ফেবারিট রোনালদো
পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ইউরো ২০২০’র স্বপ্ন মাত্র চার ম্যাচ পর্যন্ত টিকে ছিল। শেষ ১৬’র লড়াইয়ে বিশ্বের এক নম্বর দল বেলজিয়ামের কাছে পরাজিত হয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে থেকে বিদায় নিতে হয় পর্তুগালকে। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে আর খেলতে না পারলেও গোল্ডেন বুট অ্যাওয়ার্ডের জন্য ঠিকই নিজেকে শীর্ষ সারিতে রেখেই বিদায় নিয়েছেন সিআর সেভেন।
প্রথম রাউন্ডে হাঙ্গেরির বিপক্ষে দুটি, ফ্রান্সের বিপক্ষে দুটি ও জার্মানীর বিপক্ষে একটি গোল করে রোনালদো টুর্নামেন্ট পাঁচ গোল নিয়ে এখনো তালিকার শীর্ষে রয়েছেন। চেক প্রজাতন্ত্রের প্যাট্রিক শিকও পাঁচ গোল করেছেন। কিন্তু একটি অ্যাসিস্টে বায়ার লেভারকুজেনের শিককে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে পিছনে ফেলেছেন রোনালদো। জার্মানির বিপক্ষে দিয়েগো জোতাকে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোলটি করিয়েছিলেন রোনালদো।
শিকও অবশ্য রোনালদোর মতো ইতোমধ্যেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছেন। এই দুজনের পরে চার গোল করা তিনজন খেলোয়াড় বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকু, ফ্রান্সের করিম বেনজেমা এবং সুইডেনের এমিল ফোর্সবার্গও এখন শুধুই দর্শক। টিকে থাকা খেলোয়াড়দের মধ্যে ইংল্যান্ডের রাহিম স্ট্রার্লিং ও হ্যারি কেন ও ডেনমার্কের কাসপার ডোলবার্গ করেছেন তিনটি করে গোল। টুর্নামেন্টের শেষ পর্যন্ত এই তিনজনই রোনালদোকে টপকে যাওয়ার যথেষ্ট সময় পাচ্ছেন।
অন্তত এই তিনজনের মধ্যে যেকোন একজন তো ফাইনাল খেলবেনই। কারণ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড ও ডেনমার্ক। এদিকে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হওয়ায় ইতালি ও স্পেনের কোন খেলোয়াড়ের অবশ্য গোল্ডেন বুট পাবার সম্ভাবনা একেবারেই নেই বললেই চলে। তাদের একাধিক খেলোয়াড় প্রতিটি ম্যাচে গোল পেয়েছেন। এর মধ্যে অবশ্য স্পেন এখনো পর্যন্ত টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ দলীয় ১২টি গোল দিয়েছে।
কিন্তু তার মধ্যে তিনটি হয়েছে আত্মঘাতী এবং বাকি সাতটি ভিন্ন ভিন্ন খেলোয়াড়রা দিয়েছেন। সব মিলিয়ে আপাত দৃষ্টিতে এখনো পর্যন্ত রোনালদোকেই ইউরো ২০২০’র গোল্ডেন বুট অ্যাওয়ার্ডের তালিকায় শীর্ষে রাখা যেতেই পারে। নক -আউট পর্বে অবশ্য তিনি গোল করতে পারেননি। ক্যারিয়ারে বেশ কিছু ব্যক্তিগত অ্যাওয়ার্ড অর্জন করলেও এখনো পর্যন্ত নিজের নামের পাশে এই অ্যাওয়ার্ডটি যোগ করতে পারেননি পর্তুগিজ তারকা।