এন্ড্রু কিশোরকে স্মরণ করে হানিফ সংকেতের আবেগঘন পোস্ট
প্লেব্যাক সম্রাট খ্যাত দেশের বাংলা গানের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের প্রথম প্রয়াণ দিবস। দীর্ঘ ১০ মাস ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ২০২০ সালের আজকের দিনে সৃষ্টিকর্তার ডাকে সাড়া দিয়ে কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। এই কিংবদন্তি গায়ককে স্মরণ করে হানিফ সংকেত আবেগময় কথা লিখেছেন সোশ্যাল হ্যান্ডেলে।
মঙ্গলবার হানিফ সংকেত বলেন, ‘দেখতে দেখতে একটি বছর হয়ে গেল কিশোর নেই। বিশ্বাস করতে মন চায় না, অথচ এটাই সত্যি। এন্ড্রু কিশোর- বাংলা গানের ঐশ্বর্য। যার খ্যাতির চাইতে কণ্ঠের দ্যুতি ছিল বেশি। যার কাছে গানই ছিল জীবন-মরণ, গানই ছিল প্রাণ। এই গানের জন্যই কিশোর পেয়েছে প্লেব্যাক সম্রাটের উপাধি। গানের জন্যই মানুষ তাঁকে ভালোবাসত। অবশেষে মারণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে গত বছরের এই দিনে সবাইকে কাঁদিয়ে পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নেয় সবার প্রিয় এন্ড্রু কিশোর।’
স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, কিশোর যেমন প্রাণ খুলে দরাজ গলায় গাইতে পারত, তেমনি মানুষের সঙ্গেও প্রাণ খুলে মিশতে পারত। সব সময় নিজের সুবিধার চাইতে অন্যের সুবিধার দিকেই দৃষ্টি ছিল তাঁর বেশি। কিশোরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক প্রায় ৪০ বছরের। একসঙ্গে অনেক আড্ডা দিয়েছি, বহুবার বিদেশে গেছি, একসঙ্গে থেকেছি। কিশোর ছিল ইত্যাদির প্রায় নিয়মিত সংগীতশিল্পী। কিশোর নেই মনে হলেই ভেতরটা হাহাকার করে ওঠে। এন্ড্রু কিশোর ছিল একজন আদর্শ শিল্পী, একজন মানবিক মানুষ। যার তুলনা সে নিজেই।
কিশোর তাঁর গানের মাধ্যমেই বেঁচে থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। বন্ধু যেখানে থাকো ভালো থেকো। শান্তিতে থেকো- এ কামনাই করেন ইত্যাদির জনপ্রিয় উপস্থাপক।
এন্ড্রু কিশোরের প্রথম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে তাঁর জন্মস্থান রাজশাহীতে মঙ্গলবার দিনব্যাপী অসহায়দের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করবেন তার স্ত্রী মিসেস ডা. লিপিকা এন্ড্রু। এ ছাড়া আজ মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুবই সংক্ষিপ্ত পরিসরে দেশের আধুনিক ও চলচ্চিত্র জগতের কালজয়ী গানের জাদুকরের প্রয়াণ দিবসে স্মরণসভা করবে রাজশাহী প্রেস ক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ।