সড়কে বেড়েছে মানুষ-যানবাহন, চেকপোস্টে জ্যাম
সরকার ঘোষিত দুই সপ্তাহব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধের সপ্তম দিন আজ বুধবার। করোনার সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছেন পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা। লকডাউনের শুরু থেকেই বিভিন্ন জায়গায় টহল দিতে দেখা গেছে তাদের। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্টে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তবে সপ্তম দিনে রাজধানীর সড়কগুলোতে মানুষ ও যানবাহনের উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি দেখা গেছে।
গত ছয় দিনের তুলনায় আজ বুধবার সড়কে কর্মজীবী মানুষের সংখ্যা কিছুটা বেশি দেখা গেছে। তবে চেকপোস্টে কড়াকড়ি ছিল চোখে পড়ার মতো। সকালে যাত্রাবাড়ী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে। রিকশা আর ভ্যানে করে মানুষ নিজের গন্তব্যে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
একই চিত্র বাসাবো ও মানিকনগর এলাকার। এখানকার অধিকাংশ কর্মজীবী মানুষ মতিঝিলের বিভিন্ন অফিস চাকরি করেন। এসব এলাকায় রিকশা ও ভ্যানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িও দেখা গেছে। সকাল থেকে নগরীর ফকিরাপুল, রাজারবাগ, মালিবাগ, চৌধুরী পাড়া, বাড্ডা, দৈনিক বাংলা, বাংলা মোটর, কারওয়ান বাজার, মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকাতেও এমন চিত্র দেখা গেছে।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে গ্রেপ্তার ও জরিমানা করা হচ্ছে। এ ছাড়া জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিতরা পরিচয়পত্র দেখানো ও প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তল্লাশির সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানালে, তারা তাদের গন্তব্যে বা কর্মস্থলে যেতে পারছেন।
৬ষ্ঠ দিনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়ায় রাজধানী ঢাকায় ৪৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ইফতেখারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে র্যাবও মাঠে কাজ করছে। রাজধানীতে বিভিন্ন চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
তিনি বলেন, লকডাউনের প্রথমদিন থেকেই র্যাবের সবগুলো ব্যাটালিয়নের সদস্যরা রাতদিন মানুষকে ঘরে রাখা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখা সর্বোপরি মানুষ যেন ঘর থেকে বের না হয় সে জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের হার বেড়াতে যাওয়ায় সর্বাত্মক কঠোর বিধিনিষেধ নির্দেশনা জারি করে সরকার। ১৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই কঠোর লকডাউন।