বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Monday, December 23, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » বঙ্গমাতা দিবসে দেওয়া হবে পদক, দুস্থ নারীদের টাকা ও সেলাই মেশিন

বঙ্গমাতা দিবসে দেওয়া হবে পদক, দুস্থ নারীদের টাকা ও সেলাই মেশিন 

152919Untitled-1

আগামী ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকীতে ‘বঙ্গমাতা’ জাতীয় দিবস উদযাপিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে সারা দেশের দুই হাজার দুস্থ ও অসহায় নারীকে দুই হাজার টাকা করে মোট ৪০ লাখ টাকা এবং চার হাজার সেলাই মেশিন বিতরণ করা হবে।

এছাড়া আটটি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পাঁচ বাংলাদেশি নারীকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা  মুজিব পদক প্রদান করা হবে।

আজ বুধবার (৭ জুলাই) গণমাধ্যমে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার একান্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকীতে ‘বঙ্গমাতা’ জাতীয় দিবস উদযাপন ও পদক প্রদান অনুষ্ঠান যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষে আজ বুধবার (৭ জুলাই) ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আন্ত মন্ত্রণালয়সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিবসকে ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। এছাড়া বঙ্গমাতার অবদান চিরস্মরণীয় করার লক্ষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত সর্বোচ্চ জাতীয় পদক ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক’ প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবারই প্রথম ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হবে। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘বঙ্গমাতা সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী’।

এ দিবসে আটটি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সর্বোচ্চ পাঁচজন বাংলাদেশি নারীকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক প্রদান করা হবে। পদকপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে আঠারো ক্যারেট মানের ৪০ গ্রাম সোনা দিয়ে নির্মিত পদক, পদকের রেপ্লিকা, চার লাখ টাকা এবং সম্মাননাপত্র প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। গণভবন, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় গোপালগঞ্জ প্রান্তে সরাসরি সংযুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানটি উদযাপিত হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে ও অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। একইভাবে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বিদেশি মিশন ও দূতাবাসগুলোতে দিবসটি উদযাপনের জন্যও।

দিবসটি উপলক্ষে সড়ক ও সড়ক দ্বীপগুলো সজ্জিতকরণ, বিলবোর্ড স্থাপন, স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ, বাংলা ও ইংরেজিতে পোস্টার তৈরি ও বিতরণ, বঙ্গমাতার জীবনভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, ডিজিটাল শুভেচ্ছা কার্ড বিতরণ এবং মোবাইলে এসএমএস প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আন্ত মন্ত্রণালয়সভায় যুক্ত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, গৃহায়ণ এ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, বিভাগীয় কমিশনার অফিস, ঢাকা’র প্রতিনিধি, মহিলাও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থা প্রধান এবং জেলা প্রশাসক, গোপালগঞ্জ ।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone