তাসকিনের এই চমৎকার ব্যাটিংয়ের রহস্য রায়ান কুক
দলের উন্নতির জন্য লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং জানার বিকল্প নেই। বিশ্বের বড় দলগুলো সবসময় লোয়ার অর্ডারের ব্যাটিংয়ে জোর দেয়। বাংলাদেশের ক্রিকেটেও অনেক বছর ধরে বলা হচ্ছে এই বিষয়টি। কিন্তু লক্ষ্যণীয় কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। এবার চলতি হারারে টেস্টে তাসকিন আহমেদ নতুন কিছু দেখালেন। ১০ নম্বরে নেমে ৭৫ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেন তাসকিন। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে গড়েন নবম উইকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড ১৯১ রানের জুটি।
মাহমুদউল্লাহ-তাসকিনের ব্যাটিংয়ে ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারানো সফরকারীরা করে ৪৬৮ রান। তাসকিনের এই ব্যাটিং উন্নতির পেছনে আছেন বাংলাদেশের ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক। দক্ষিণ আফ্রিকার এই কোচের কাজ ফিল্ডিং নিয়ে হলেও তিনি লোয়ার অর্ডারদের ব্যাটিং করার তাগাদা দিতেন। প্রথম দিনের খেলা শেষে বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় তাসকিন জানান, বাংলাদেশের লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নিয়ে নিয়মিতই কাজ করেন কুক। তার চেষ্টাতেই এই উন্নতি।
তাসকিনের ভাষায়, ‘নতুন ব্যাটিং কোচ এই সিরিজে এসেছেন। অ্যাশওয়েল প্রিন্সের সঙ্গে খুব বেশি কাজ হয়নি। টুকটাক কথা হয়েছে। বেশির ভাগ আমাদের লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিংয়ের জন্য তাগিদটা দেন আমাদের ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক।শেষ সিরিজে তিনি আমাকে বলেছিলেন, এবার আসার সময় আমি যেন নিজের জন্য ব্যাটিং স্পাইক কিনে নিয়ে আসি। ব্যাটিংয়ের সময় আমি যেন ব্যাটিং স্পাইক পরি। সাধারণত দেখা যায় আমরা বোলাররা বোলিং বুট পরেই ব্যাটিংয়ে নেমে যাই। এবার ব্যাটিং বুট পরেই ব্যাটিংয়ে নেমেছি। তিনি এতে খুব খুশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নেটে ব্যাটিং থেকে ফেরার পর উনি বলেছেন, “ব্যাটিংয়ে নামার সময় তুমি ব্যাটসম্যানই, যতই বোলার হও। এই জন্য ব্যাটিং স্পাইক, ভালো গিয়ার প্রয়োজন।” সব সময় ব্যাটিংয়ের জন্য আমাকে তাগিদ দেওয়ায় রায়ান কুককে অসংখ্য ধন্যবাদ। সব সময় লক্ষ্য থাকে যে, ভালো একটা টেলএন্ডার হওয়ার। কারণ, প্রত্যেকটা বড় বড় টেস্ট দলের টেল এন্ডাররা নির্ভরযোগ্য। আমিও চাই নির্ভরযোগ্য একজন টেলএন্ডার হতে। যেন কখনও আর্লি উইকেট গেলে কিংবা শেষ পর্যন্ত একজন ব্যাটসম্যান ক্রিজে থাকলে যেন তাকে একটু সহায়তা করতে পারি।’