রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন বাইডেন
রাশিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার হামলা প্রতিরোধে ওয়াশিংটন ‘যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা’ নেবে বলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী ফোনালাপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফোনালাপের পর (সাইবার হামলার কারণে) রাশিয়াকে ফল ভোগ করতে হবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, ‘হ্যা’। তবে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া ওই সাইবার হামলার পর ওয়াশিংটন রাশিয়ানদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছে বলে করা বাইডেন প্রশাসনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া। চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন জো বাইডেন। এরপর গত মাসে জেনেভায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকের পর শুক্রবারই প্রথমবারের মতো উভয় নেতা ফোনে কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার হামলার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এমনকি সাম্প্রতিক একটি হামলা দেশটির এক হাজার ৫০০টি কোম্পানিকে কার্যত অকার্যকর করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার উভয় নেতা একে অপরের সঙ্গে দীর্ঘসময় ফোনে কথা বললেন।পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘যখন রুশ ভূখণ্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার হামলার ঘটনা ঘটে, তখন ওয়াশিংটন আশা করতেই পারে যে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুতন প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এমনকি হামলার কাজে রাষ্ট্র জড়িত না থাকলেও। আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে এটাই স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি।’‘আমরা আশা করি যে- হামলাকারীর বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য দেওয়ার পর রুশ প্রশাসন অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’ এসময় হ্যাকারদের ব্যবহৃত সার্ভারে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালাবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘হ্যা’।এদিকে শুক্রবার জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপের পর ক্রেমলিন জানিয়েছে, সাইবার হামলা নিয়ে তথ্য দেওয়া তো দূরের কথা মস্কোর সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগই করেনি যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট পুতিনের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অপরাধীদের কর্মকাণ্ড দমনে রুশ কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত থাকলেও গত মাসে সাইবার হামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো দফতর থেকে কোনো তথ্যই পায়নি মস্কো।’তবে মস্কোর এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা। খবর : বিবিসি।