বাস জ্বালিয়ে, ভাঙচুর করে বিভীষিকা তৈরি করল ইংলিশ সমর্থকরা!
ইংল্যান্ডের সমর্থকদের দুর্নাম সম্পর্কে সারাবিশ্বই জানে। ক্রিকেট হোক বা ফুটবল- দল হারলেই তারা ক্ষেপে ওঠে! ফুটবল দর্শকদের বাড়াবাড়ি সবসময়ই বেশি। ইউরোর ফাইনালের আগে হাজার হাজার ইংলিশ সমর্থক কার্যত তাণ্ডব চালাল লণ্ডনের রাস্তায়। ঠিক ইউরো ফাইনালে ইংল্যান্ড বনাম ইতালি ম্যাচের ঠিক আগে ঘটেছে এই ঘটনা। সেমিফাইনালে ডেনমার্কের বিপক্ষে ন্যাক্কারজনক কাণ্ড ঘটিয়েছিল ইংল্যান্ডের সমর্থকরা। ড্যানিশ গোলকিপার ক্যাসপার স্কিমিচেলের মুখে লেজার বিম ফেলে মনোসংযোগে বিঘ্ন ঘটাতে চেষ্টা করে।
ডেনমার্কের জাতীয় সঙ্গীতকেও ব্যঙ্গ করা হয়। গ্যালারিতে আতশবাজি জ্বালানো হয়। যে কারণে উয়েফার পক্ষ থেকে জরিমানা করা হয় ইংল্যান্ডকে। এরপর সাউথগেট দলের সমর্থকদের সংযত হওয়ার বার্তা দিয়ে বিপক্ষ দলের জাতীয় সঙ্গীতকে ব্যঙ্গ করতে বারণ করেন।তবে তার কথা শোনার প্রয়োজন বোধ করেননি ইংলিশরা। ফাইনালেও ইতালির জাতীয় সঙ্গীতকে ঘিরে তারা তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। টিকিট না থাকা ইংল্যান্ডের সমর্থকরা কাতারে কাতারে ওয়েম্বলির বাইরে জড়ো হয়ে জোরপূর্বক স্টেডিয়ামে ঢোকার চেষ্টা করে।
বাধাপ্রাপ্ত হয়ে শয়ে শয়ে বিয়ারের বোতল ছুড়তে থাকে সমর্থকরা। কয়েকশো মদ্যপ সমর্থক স্টেডিয়ামের বাইরে বাসে উঠে তাণ্ডব চালায়। ইতালির বিপক্ষে গালাগাল উজাড় করে দেয়। আগেই স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল টিকিট বিহীন দর্শকরা যেন ওয়েম্বলি থেকে দূরে ফ্যান জোনে ম্যাচ উপভোগ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষমেশ লণ্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ মাঠে নামে। স্টেডিয়ামে কর্তৃপক্ষের অনুরোধে বিশৃঙ্খল জনতাকে বাগে আনতে বিশাল পুলিশ নামাতে হয়।
ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে আসার জন্য যে টিউব স্টেশন রয়েছে সেখানে তো বটেই লেস্টার স্কোয়ারে বানানো হয়েছিল ফ্যানজোন। যাতে ইংল্যান্ডের সমর্থকরা দেশের খেলা উপভোগ করতে পারেন। তবে সেই ফ্যান জোনে সমর্থকদের তাণ্ডব চলার পর যা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এদিন এতটাই তাণ্ডব ছিল উগ্র সমর্থকদের যে ইতালি দলের নিরাপত্তা নিয়েও একসময় সংশয় দেখা যায়। ভবিষ্যতে উয়েফা নিশ্চয় এই বিষয়টি মাথায় রাখবে।