ইউরোপ যাত্রায় ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরেছে ১১৪৬ জন: জাতিসংঘ
স্বপ্নের দেশ ইউরোপ যাওয়ার পথে সাগরে ডুবে এক হাজার ১৪৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থী মারা গেছেন যা গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএমের নতুন এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বলেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কমপক্ষে এক হাজার ১৪৬ জন মারা গেছেন। ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টাকারীর সংখ্যা ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।সংস্থাটি বলছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাস-ভূমধ্যসাগরে দিয়ে ‘লিবিয়া থেকে ইতালি’ যাওয়ার পথে ডুবে মরেছে ৭৪১ জন। এরপর আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিম আফ্রিকা থেকে স্পেনের ক্যানারি দ্বীপের পথে মারা গেছেন কমপক্ষে ২৫০ জন। এছাড়া পশ্চিম ভূমধ্যসাগরের স্পেনমুখী পথে মারা গেছেন কমপক্ষে ১৪৯ জন এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগরের গ্রিসের পথে প্রাণ হারান ৬ জন। আইওএম বলেছে, অনেক জাহাজ ভেঙে ডুবে যাওয়ায় এবং শনাক্ত করতে না পারায় ইউরোপগামী ভূমধ্যসাগরের পথে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।আইওএম বলেছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে তিউনিশিয়ার উদ্ধার অভিযান গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। লিবিয়ার কর্তৃপক্ষ সাগর পথে ১৫ হাজারের বেশি পুরুষ, নারী ও শিশু উদ্ধারের পর ফেরত পাঠিয়েছে; যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তিন গুণ বেশি। এদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশি নাগরিকও আছেন।ভূমধ্যসাগরে চলতি বছর অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থীদের মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে ছোট নৌকায় চেপে সাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা, আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউরোপীয় নেতৃত্বাধীন সক্রিয় উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযানের অনুপস্থিতি, অলাভজনক সংস্থাগুলোর ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন কারণ ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছেন আইওএমের মুখপাত্র সাফা মেহলি।