মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা, সাগরে মাছ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা
আজ শুক্রবার (২৩ জুলাই) মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে বঙ্গোপসাগর ও নদীর মোহনায় মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এ অবস্থায় খুশির জোয়ার বইছে জেলেদের ভেতর। আবারো ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।
ইলিশ ও অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের প্রজনন বৃদ্ধির জন্য গত তিন বছর ধরে সরকার এ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে। এই নিষেধাজ্ঞা কারণে কক্সবাজারের প্রায় সকল মাছ ধরার নৌকা বঙ্গোপসাগরের মোহনা ও ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়।
মধ্যরাতে নির্ধারিত সময়ের পর থেকে আবার জেলেরা ট্রলার নিয়ে ছুটবেন গভীর সাগরে। এরই মধ্যে সাগরযাত্রার প্রস্তুতি নিয়েছেন তাঁরা। ফলে জেলে-পাইকার-আড়তদারের পদচারণায় আবার মুখর হয়ে উঠবে মৎস্যবন্দরগুলো।
মৎস্য সংশ্লিষ্টরা জানান, সাগরে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় কক্সবাজারের অনেক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং বরফকল ২ মাসের জন্য বন্ধ রাখা হয়। এছাড়া কয়েক হাজার মৎস্য ব্যবসায়ী ও শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েন। তাঁরা জানান, তালিকার বাইরে থাকা কয়েক হাজার জেলে সরকারি কোনো সহযোগিতা পাননি।
কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম খালেকুজ্জামান বলেন, ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের প্রজননকাল উপলক্ষে সাগর ও নদী মোহনায় মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। আজ ২৩ জুলাই তা শেষ হচ্ছে। এই সময়ে দেশের সামুদ্রিক জলসীমানায় সব ধরনের মৎস্য আহরণ, পরিবহণ ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মাছের প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সাগরে মাছের প্রাচুর্য বৃদ্ধির লক্ষে ২০১৯ সাল থেকে প্রথমবারের মতো ছোট নৌকাগুলোকেও ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার আওতায় নিয়ে আসে সরকার। এর আগে ২০১৫ সাল থেকে কেবল বড় বড় বাণিজ্যিক ট্রলারগুলোর জন্যই এ নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। তবে ইলিশের প্রজননকাল উপলক্ষে ছোট ট্রলারগুলোকে ২০১১ সাল থেকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়, যেটি অক্টোবর মাসে এখনও কার্যকর।