তিন পজিশনে পাঁচ : তামিম-সাকিব-লিটন-সৌম্য-নাঈম
বাংলাদেশের ক্রিকেটে অন্যতম হতাশার দিকটি হলো সৌম্য সরকারের অধারাবাহিকতা। অসম্ভব প্রতিভাবান এই ছেলেটি ধারাবাহিক হবেনই বা কী করে? কখনো ওপেনিং, কখনো মিডল অর্ডার, কখনো লোয়ার অর্ডার আবার কখনো পেস-বোলিং অল-রাউন্ডারের ভূমিকা পালন করতে গিয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছেন স্টাইলিস্ট এই হার্ডহিটার। টেস্ট আর ওয়ানডেতে জায়গা হারিয়েছেন। সদ্য সমাপ্ত জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ পেয়েই হয়েছেন সিরিজ সেরা।
সিরিজের প্রথম এবং শেষ ম্যাচে দুই ফিফটি করেছেন সৌম্য। দুটি ইনিংসই দলকে জয়ের পথে নিয়ে গেছে। কিন্তু এই সৌম্য হয়তো একাদশে সুযোগই পেতেন না। তামিম ইকবাল ইনজুরির কারণে আগেই দেশে ফিরেছেন। ইনজুরির কারণে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে নাম প্রত্যাহার করেন লিটন দাস। নাহলে নাঈমের সঙ্গে লিটনকেই ওপেনিংয়ে দেখা যেত। কিংবা তামিমের সঙ্গে লিটন অথবা নাঈমকে। দুই ইনজুরিতে সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেন সৌম্য। দেখিয়ে দেন, তার আসল পজিশন হলো ওপেনিং।
এটা অনুমান করা সহজ যে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে একটা মধুর সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। ওপেনিংয়ে অভিজ্ঞ তামিম ইকবাল অটো চয়েস। তার সঙ্গী হতে লড়ছেন সৌম্য-লিটন এবং নাঈম। আবার কাউকে তিনে নামানোটাও সমস্যা। কারণে তিন নম্বর পজিশনে খেলতে পছন্দ করেন সাকিব আল হাসান। এই পজিশনে তিনি অনেক রানও করেছেন। তাই সৌম্য-লিটনদের জায়গা হয় লোয়ার মিডল অর্ডারে; যেটা আসলে তাদের জন্য উপযুক্ত পজিশন নয়।
বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা আছে টাইগারদের। এই দুই সিরিজেই হয়তো টিম ম্যানেজম্যান্ট সৌম্যদের নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পারবে। সৌম্য হয়তো দলীয় সংহতি কিংবা ভদ্রতার খাতিরেই বারবার বলে এসেছেন, তিনি যে কোনো পজিশনে খেলতে পারেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তার জায়গা টপ অর্ডারেই। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও তিনি নিশ্চিতভাবেই ওপেন করবেন। কারণ তামিম-লিটন কেউই থাকছেন না। তাই নিজেকে প্রমাণের আরও ভালো সুযোগ পাচ্ছেন সৌম্য।