অবশ্যই সৃজিত একটা প্রধান কারণ, যা নিয়ে বললেন বাঁধন
আজমেরি হক বাঁধন কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে দেশে ফিরে প্রসংশায় ভাসছেন। বর্তমানে দেশজুড়ে ইতিবাচক আলোচনা হচ্ছে কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত ‘রেহানা মারিয়াম নূর’ ছায়াছবি এবং এর কুশীলবদের নিয়ে। তাঁদের মধ্যে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় উন্নীত করেছেন ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয়কারী আজমেরী হক বাঁধন। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সিরিজ ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’র রহস্যময়ী চরিত্রে অভিনয় করছেন আজমেরি হক বাঁধন। আর তাকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে এখন ওপার বাংলাতেও।
সাম্প্রতিক নানা বিষয় নিয়ে কলকতার গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের সঙ্গে কথা বলেছেন আজমেরী হক বাঁধন। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সিরিজ ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘সৃজিতের সঙ্গে আমার আগে কোনোদিনই পরিচয় হয়নি। কখনও যোগাযোগই হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমাকে যোগাযোগ করে। প্রথমে তো আমি ভেবেছিলাম সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের নাম করে কেউ ফেক প্রোফাইল থেকে এমনটা করছে। হঠাৎ করে কেনই বা সৃজিতের মতো একজন পরিচালক আমাকে চিনবেন, কেনই বা আমাকে তাঁর ওয়েব সিরিজে নেবেন? ব্যাপারটা ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়। চটজলদি পিডিএফ ডাউনলোড করে বইটা পড়ে ফেলি।’
তিনি আরো বলেন, ‘সৃজিতের মতো পরিচালক এই চরিত্রে আমাকে ভেবেছেন আমি খুব অবাক হয়েছিলাম। আমাকে ভীষণভাবে সাহায্য করেছেন সৃজিত। এই চরিত্রটাকে ঠিক করে বোঝানোর ক্ষেত্রে। আসলে আমার কাছে ভালো অভিনেতা বলে কিছু নেই, ভালো পরিচালকে আমি বিশ্বাস করি। একজন ভালো পরিচালক, অভিনেতার থেকে সেরাটা বের করে নেন। আমি তাই পুরোটাই বিশ্বাস করেছি সৃজিতের ওপর। সৃজিত অনলাইনে আমার সঙ্গে ছবি নিয়ে আলোচনা করতেন। ওখানেও যখন গিয়েছিলাম, তখন সারাদিন হাতে চিত্রনাট্য থাকত আমার। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সৃজিত আমার সঙ্গে রিহার্সাল করেছেন। আসলে আমি নিজেকে ভালো অভিনেত্রী বলব না। বরং পরিশ্রমী অভিনেত্রী বলব।’
এই ওয়েব সিরিজে কাজ করার অফারে ‘হ্যাঁ’ বলে দেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই সৃজিত একটা প্রধান কারণ। দ্বিতীয়টা হলো গল্প। মুস্কান জুবেরির চরিত্রটা করার লোভ কোনো অভিনেত্রী সামলাতে পারবেন কি না জানি না। তার ওপর আমাদের এখানে নারী প্রধান গল্প নিয়ে একদম ছবি হয় না। হলেও, সেটা নয় তো খুব আদর্শবাদী নারী চরিত্র বা ডাইনি নেগেটিভ চরিত্র। এর মাঝে যে একটা গ্রে পার্ট থাকে, সেটা নিয়ে কোনও কাজই হয় না। লেখক মহম্মদ নাজিমুদ্দিন এরকম একটা গল্প লিখেছেন, এরকম একটা চরিত্রে জন্ম দিয়েছেন, সেটার জন্য আমি তাঁকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই।’