কেন বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পরেও শাস্ত্রীর চাকরি গেল না?
রবি শাস্ত্রীর অধীনে ভারতীয় ক্রিকেট দল দেশ ও দেশের বাইরে একের পর এক সিরিজ জিতেছে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজও আছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তারা কোনো ট্রফি জিততে পারেনি। ২০১৭ সালে প্রথমবার জাতীয় দলের কোচের পদে নিয়োগ করা হয় শাস্ত্রীকে। ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে ভারতের বিদায়ের পর অনেকেই ভেবেছিলেন, শাস্ত্রীর চাকরি চলে যাবে। কিন্তু সবাইকে ভুল প্রমাণ করে তাকে পুনর্নিয়োগ দেয় বিসিসিআই। কিন্তু কেন?
ভারতীয় কোচের পদে আবেদন করেছিলেন মাইক হেসন, টম মুডির মত বিখ্যাত কোচেরাও। তবে শেষ পর্যন্ত দায়িত্বে আসেন শাস্ত্রী।এটা সবাই জানে যে অধিনায়ক বিরাট কোহলিও রবি শাস্ত্রীর কোচিংয়ের বড় ভক্ত। কোহলি-শাস্ত্রী জুটি ভারতীয় ক্রিকেটকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। একাধিকবার তারা প্রকাশ্যে একে অন্যের প্রতি সম্মান জানিয়েছেন। কোচ নির্বাচনের দায়িত্ব ছিল কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা কমিটির। সেই কমিটিরই অন্যতম সদস্য অংশুমান গায়কোয়াড় জানালেন, কেন শাস্ত্রীকে রাখা হলো।
হিন্দুস্থান টাইমসকে গায়কোয়াড় বলেছেন, ‘কোচ হওয়ার দৌড়ে যারা ছিলেন তাদের থেকে রবি শাস্ত্রীর একটা এডভান্টেজ ছিল। আমি, শান্তা, কপিল দেব তাকে (শাস্ত্রী) বেছে নিয়েছিলাম। সে ধারাভাষ্যকার হওয়ার সুবাদে ক্রিকেটের সঙ্গে ভালোভাবেই জড়িয়ে ছিল। কেবলমাত্র একটা দেশের নয়, কমেন্ট্রি করার জন্য তাকে বিশ্বক্রিকেটের খোঁজখবর রাখতে হতো। জয়-হার এসব বিষয়গুলো সে ভালোভাবে বুঝত। সে জানত কীভাবে মুহূর্তের মধ্যে খেলার দিক পরিবর্তন হয়ে যায়। সে ভারতীয় ক্রিকেটারদের হাতের তালুর মতো চিনত। ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার ভালো যোগাযোগও ছিল। এর থেকে বেশি একজন কোচের আর কী থাকতে পারে!’
অংশুমান গায়কোয়াড়ও একসময় ভারতীয় দলের কোচ ছিলেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, একটা দলের সাফল্য পুরোটাই অধিনায়ক-কোচ জুটির ওপরে নির্ভর করে। যা ভুল ধারণা। আসলে একজন অধিনায়ক এক কিছুই করতে পারেন না। সাফল্যের জন্য বাকি ১০ জনেরও প্রয়োজন হয়। একইভাবে কোচ-অধিনায়ক জুটিই দলকে সাফল্যের রাস্তা দেখাতে পারেন না। এমনটাই আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। আমার দলে আজাহারউদ্দিন, শচীন, লক্ষ্মণ, সৌরভ, রাহুল ছিল! একজন কোচের আর কী চাইতে পারেন! বোলিংয়েও ছিল ভেঙ্কটেশ প্রসাদ, শ্রীনাথ, কুম্বলে।