বিধি-নিষেধ, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও ঢাকামুখী মানুষের স্রোত চলছেই
একদিকে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি-নিষেধ, অন্যদিকে গত তিন দিন ধরে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি- এসবের মধ্যেও থেমে নেই ঢাকামুখী মানুষের স্রোত।
আজ শুক্রবার (৩০ জুলাই) ভোর থেকে দেখা যায় বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া প্রান্তে দক্ষিণবঙ্গ থেকে ঢাকা অভিমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড়। স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী ও পণ্যবাহীসহ ব্যক্তিগত গাড়ি ছিল চোখে পড়েছে আজ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি)-এর শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ভোর থেকেই মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী কর্মজীবী মানুষের ভিড় চলছে। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে এই নৌরুটে ১৭টি ফেরির মধ্যে রো রো চারটি, কে-টাইপ চারটি ও মিডিয়াম একটিসহ মোট ৯টি ফেরি চলছে। লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। পণ্যবাহী যানবাহন ও ব্যক্তিগত গাড়িসহ দুই শতাধিক গাড়ি রয়েছে পারের অপেক্ষায়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুমন দেব জানান, শিমুলিয়া ঘাট অভিমুখে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি রয়েছে। গাড়িগুলো যাতে সারিবদ্ধভাবে ফেরিতে উঠতে পারে সে জন্য শিমুলিয়া ঘাটে ফেরির পন্টুনে দুটি চেকপোস্ট দেওয়া হয়েছে। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের নিমতলায়ও রয়েছে চেকপোস্ট। সেখান থেকে যাত্রী এবং ব্যক্তিগত গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, জরুরি পরিষেবার গাড়ি ছাড়া অন্যান্য গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ফেরিতে করে দক্ষিণবঙ্গ থেকে আসা যাত্রীরা শিমুলিয়া ঘাটে এসে পায়ে হেঁটে, সিএনজি ও ব্যক্তিগত গাড়িতে যাত্রীরা ঢাকায় ছুটছেন। তবে চলমান কঠোর বিধি-নিষেধের কারণে শিমুলিয়া ঘাটসহ জেলার বিভিন্ন প্রবেশপথে আজও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট রয়েছে।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটে যেতে ফেরিগুলোর দ্বিগুণ সময় লাগছে বলে জানিয়েছেন মাওয়া নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সিরাজুল কবির। তিনি জানান, স্রোতের বিপরীতে ও নদীতে তিন-চার কিলোমিটার বেশি পথ ঘুরে যাচ্ছে প্রতিটি ফেরি। পদ্মায় তীব্র স্রোত থাকায় ফেরিতে যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।