অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয়ে বাংলাদেশের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভালো ব্যবধানে জয়ের পরে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের অনেকেই এখন সিরিজ জয়ের আশা করছেন। অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের ক্রিকেট বা সামগ্রিক ক্রীড়া ব্যবস্থার ফারাক অনেক বেশি, তাই এই দলের বিপক্ষে একটি জয়ও বিশেষ কিছু বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের জন্য। তবে ভক্তদের আশা এখানেই কাজ শেষ নয়। তাদের চাওয়া সিরিজ জয়।
বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ এখন ব্যাটিংয়ে উন্নতি করা
ক্রিকেট কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, এখন সিরিজ জিততে হলে ব্যাটিংটা আরো ভালো করতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যাটসম্যানদের।
অস্ট্রেলিয়ার দৃঢ়তার সাথে ফিরে আসার কথা বলছেন ফাহিম। ১৫০ বা ১৬০ রানের একটা লক্ষ্য মিরপুর স্টেডিয়ামে একটা যথাযথ স্কোর হতে পারে বলছেন তিনি। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আরো দৃঢ় ব্যাটিং প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ মোটামুটি সংগ্রহ গড়ে তুললেও এটা সবসময় যথেষ্ট হবে না বলে মনে করেন ফাহিম।
অস্ট্রেলিয়া স্পিনে একই ভুল বারবার করবে না
ঢাকার মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রথম ম্যাচটি মন্থর ও স্পিনিং উইকেটে খেলা হয়েছে। মপরের ম্যাচগুলোর উইকেটও এমনই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেকারণে তাসকিন ও সাইফুদ্দিনের বদলে বাংলাদেশের একাদশে নাসুম ও মেহেদী হাসান জায়গা পেয়েছেন। নাসুম ক্যারিয়ারের পঞ্চম ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর নায়ক বনে গিয়েছেন চার উইকেট নিয়ে।
প্রথম তিন ওভারে তিন স্পিনার নিয়ে আসা এবং ১১ রানের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার তিনজন ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরাই ইঙ্গিত করে স্পিন দিয়েই এই সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে চায় বাংলাদেশ। তবে অস্ট্রেলিয়া একই ভুল পুনরায় করবে না বলেই মনে করছেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম। আবার কিছু কিছু উইকেটের ধরণ বাংলাদেশের পক্ষেও ছিল, যা হয়তো অন্য ম্যাচে হবে না।
অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের খেলা
বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলারদের ভালোই খেলেছেন বলে মনে করেন ফাহিম। বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারদের এই মেন্টর মনে করেন, পেস বোলারদের উইকেট দিয়ে এসেছে ঠিক, কিন্তু ব্যাটসম্যানরা বেশ সাচ্ছন্দ্যে খেলেছে।
ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই স্টার্ককে ছক্কা হাঁকিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলের বোলাররা বিশ্বের সব পর্যায়েই ভালো বোলিংয়ের জন্য সুপরিচিত। স্টার্ক-হ্যাজলউড জুটি আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা পেস জুটি। ফাহিমের মতে, এই জুটিকে আত্মবিশ্বাসের সাথেই খেলেছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
তবে বাংলাদেশ অবশ্য ভুগেছে অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলিংয়েই, অর্থাৎ উইকেটে গতি ও সুইং ঠিক করতে পারলে পেস বোলিং দিয়েও কার্যকর ভূমিকা পালন করা যাবে। মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড ও অ্যান্ড্রু টাই- অস্ট্রেলিয়ার এই তিনজন পেসার বাংলাদেশের সাত উইকেটের মধ্যে ছয়টিই নিয়ে নিয়েছেন। আবার বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল দুজনই দুটি করে চারটি উইকেট নিয়েছেন।
ম্যাচ ছোট হয়ে এলে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে থাকবে
বাংলাদেশের ক্রিকেট দলে কাগজে কলমে তেমন হার্ড হিটার নেই, তাই বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার কোন ম্যাচ যদি বৃষ্টির কারণে ছোট হয়ে আসে তাহলে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা একটু সুবিধা পেতে পারে। কিন্তু নাজমুল আবেদীন ফাহিমের মতে, এখানে আরেকটা ব্যাপারও আছে যে বাংলাদেশের বোলারদের মারাটাও এতোটা সহজ হবে না।
এখনো চার ম্যাচ বাকি, খুব দ্রুতই এই সিরিজটি সামনে এগোবে। মাত্র সাতদিনের ব্যবধানে পাঁচটি ম্যাচ খেলবে দুই দল। তাই এই সিরিজে শারীরিক ক্লান্তি একটা বড় ব্যাপার হয়ে উঠতে পারে।