পরীমণির অবৈধ কাজে জড়িতদের নাম পেয়েছি: হারুন
ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমণির অবৈধ কাজের সহযোগীদের নাম পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-উত্তর) যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশিদ।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান তিনি।
হারুন-অর-রশিদ বলেন, পরীমণি যেসব অবৈধ কাজ ও ব্যবসা করতো, সেগুলো কাদেরকে নিয়ে করতো, কাদের সহযোগিতায় করতো, কারা তার নেপথ্যে রয়েছে, আমরা তাদের নাম পেয়েছি। তার বক্তব্য নোট করছি। যারাই তার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদেরই গ্রেফতার করা হবে।
প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বিষয়ে তিনি বলেন, রাজ একজন লেখাপড়া না জানা মানুষ। সে ছোট্ট একটা চাকরি করতো। বিভিন্ন মডেলকে নিয়ে সে ঘরোয়া পার্টি করতো। উচ্চবিত্তদের মডেল সাপ্লাই দিতো। তার কাছ থেকেও আমরা তথ্য পেয়েছি। সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে, গত বুধবার বিকালে পরীমণির বনানীর বাসায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযানে যান র্যাবের গোয়েন্দা দলের সদস্যরা। তাদের দেখে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভ শুরু করেন পরীমণি। তিনি সেখানে অভিযোগ করেন, তার বাসায় ‘বিভিন্ন পোশাকে’ লোকজন এসে ফ্ল্যাটের দরজা খুলতে বলছেন। কিন্তু তিনি দরজা খুলতে ভয় পাচ্ছেন। এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে রাত ৮টার দিকে পরীমণিকে আটক করে র্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করার কথা জানায় র্যাব।
এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রযোজক ও অভিনেতা নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব। পরীমণিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পাওয়া তথ্যে র্যাব ওই অভিযানে যায় বলে জানায়।