সিলেটের জকিগঞ্জে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সিলেটের জকিগঞ্জে দেশের ২৮ তম গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান আমরা পেয়েছি। সেটি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কম্পানি (বাপেক্স) আবিষ্কার করেছে। সেখানে উত্তোলনযোগ্য মজুদ আছে ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। দৈনিক ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করে গ্রিডে দেওয়া যাবে। এখান থেকে প্রায় ১২-১৩ বছর পর্যন্ত গ্যাস উত্তোলন সম্ভব। যার বাজার মূল্য ১ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা।
আজ সোমবার জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে ‘এনার্জি সিকিউরিটি: মডার্ন কনটেক্সট, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।
গত ১ মার্চ এখানে কূপ খনন শুরু করে বাপেক্স। ৭ মে কূপ খনন শেষ হয় । গত ১৫ জুন ডিএসটি (ড্রিল স্টিম টেস্ট) গ্যাসের শিখা জ্বালাতে সক্ষম হয় রাষ্ট্রীয় কম্পানি বাপেক্স।
কূপটির অভ্যন্তরে চাপ রয়েছে ৬ হাজার পিএসআই (প্রতি বর্গ ইঞ্চি) আর ফ্লোটিং চাপ রয়েছে ১৩ হাজারের বেশি। এরপর পরীক্ষানিরীক্ষা শেষে আজ সোমবার জ্বালানি নিরাপত্তা দিবসে জকিগঞ্জকে দেশের ২৮ তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা কর হলো৷
বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, এটি বাপেক্সের অষ্টম সাফল্য ৷ এই কূপে চারটি স্তরে পরীক্ষা করে একটি স্তরে বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য গ্যাস পাওয়া গেছে। মাটির ২৮৭০ থেকে ২৮৯০ মিটার গভীরে এই গ্যাস স্তর অবস্থিত। এই কূপ খননে বাজেট ছিলো ৮৬ কোটি টাকা , ব্যয় হয়েছে ৭১ কোটি টাকা।