ই-জুডিশিয়ারি ও ই-কোর্ট রুম স্থাপনে পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
দেশের সকল আদালতে ই-জুডিশিয়ারি কার্যক্রম চালু ও ই-কোর্ট রুম স্থাপনের বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এবিষয়ে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ দুইমাসের মধ্যে জানাতে আইন সচিবসহ সরকারের সংশ্লিস্টদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০ অক্টোবর এবিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভুইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
দেশের সকল আদালতে ই-জুডিশিয়ারি ও ই-কোর্ট রুম স্থাপনের নির্দেশনা চেয়ে ২০১৯ সালের১১ ডিসেম্বর একটি রিট আবেদন করেন অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভুইয়া। এ রিট আবেদনে হাইকোর্ট ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি রুল জারি করেন এবং সরকারের গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চান। ৩০ দিনের মধ্যে জানাতে আইন সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়। রুলে দেশের সকল আদালত কক্ষে ই-জুডিশিয়ারির কার্যক্রম চালু করতে সব ধরণের পদক্ষেপ নিতে সরকারকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে করা হয়। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো জবাব না পেয়ে রিট আবেদনকারী বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। এ আবেদনে গত ১০ জুন আদালত ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে ওইসময় আদালতে সীমিত পরিসরে বিচার কাজ পরিচালিত হওয়ায় বিষয়টি শুনানি হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন একই আইনজীবী।
উল্লেখ্য, মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, বিচার বিভাগ ডিজিটালাইজড করা, দেশের সকল আদালত ভার্চুয়াল পদ্ধতির আওতায় আনা, বন্দীদের কারাগারে রেখেই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিচারিক প্রক্রিয়া পরিচালনা, সারাদেশে ই-কোর্ট রুম স্থাপন করার লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয় ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ২০২০ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ৫ বছর মেয়াদী প্রকল্পের জন্য ২৮৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে বলে জানা গেছে। নতুন অর্থবছরের জন্য ঘোষিত অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত ৩ জুন বাজেট বক্তব্যে দেশের প্রতিটি আদালতকে ই-আদালতে পরিণত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।