শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেবার দাবি মহিলা পরিষদের
করোনা মহামারীর কারনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কোভিড -১৯ মহামারী কারনে দীর্ঘ ১৭ মাস যাবত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষা জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু থাকলেও দেশের প্রায় অর্ধেক ছাত্র-ছাত্রী তথ্য প্রযুক্তির অপ্রাপ্যতার কারনে পড়াশুনায় পিছিয়ে পড়ছে।
এতে বলা হয়, করোনাকালীন সময়ে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় গ্রামাঞ্চলে বাল্যবিবাহের হার বেড়ে গেছে। আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, সমাজে নৈতিকতার অবক্ষয়, কিশোর- কিশোরী ও যুবসমাজের মাঝে অস্থিরতা, পারিবারিক নির্যাতন সহ তরুনদের মধ্যে মাদকাসক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। সমাজে অপরাধ প্রবণতা ভয়াবহ মাত্রায় দেখা দিচ্ছে। টানা দেড় বছর ধরে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় ছেলেমেয়েরা চরম আকারে মানসিক হতাশা ও অবসাদগ্রস্থতায় ভুগছে।
স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় বাচ্চাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটছে। অনভ্যস্থতার কারনে পড়াশুনাবিমুখ হয়ে পড়ছে তারা। ইলেকট্রনিক গেজেটের প্রতি শহরাঞ্চলের বাচ্চারা অতিমাত্রায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। কিশোর ও তরুনসমাজ অলস সময় যাপন করছে। এবং তারা বিভিন্ন রকম অসামাজিক অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ছে। এছাড়া সেশনজট বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনলাইনে ক্লাসের নামে ছাত্র-ছাত্রীদের মানবিক বিকাশে বিঘ্ন ঘটছে- বলা হয় বিবৃতিতে।
মহিলা পরিষদ ছাত্র-ছাত্রী ও তরুন সমাজের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছাত্র-ছাত্রীদের ভ্যাক্সিন প্রদান করে দ্রুততার সাথে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেবার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানায় বিবৃতিতে।