কাবুল দখল নিতে পারে তালেবান : মার্কিন গোয়েন্দা
৯০ দিনেই আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দখল করবে তালেবান, বলছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে, ৬ দিনে দেশটির ৯ প্রাদেশিক রাজধানীর দখল নিয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠীটি। এই পরিস্থিতির মধ্যে পদত্যাগের পর দেশ ছেড়েছেন আফগানিস্তানের অর্থমন্ত্রী খালিদ পায়েন্দা। বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ৬ মাসের মধ্যে তালেবান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেবে এমন ধারণা ছিল মার্কিন গোয়েন্দাদের। তবে, জঙ্গিগোষ্ঠীর সাম্প্রতিক আগ্রাসন দেখে পাল্টেছে তাদের মত। এখন মার্কিন গোয়েন্দারা বলছেন, ৩০ দিনে কাবুলকে অন্যান্য অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে, ৯০ দিনে নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে তালেবান।৩৪ প্রাদেশিক রাজধানীর ৯টিই এখন তালেবানের দখলে। সবশেষ বুধবার তাজিকিস্তানের সীমান্তবর্তী বাদাখশান প্রদেশের রাজধানী ফায়জাবাদ শহরের দখল নেয় তারা। এর আগে, ৫ দিনে ৮টি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারায় আফগান বাহিনী।গুরুত্বপূর্ণ শহর কুন্দুজ বিমানবন্দরটিও এখন তালেবানের দখলে। আফগান নিরাপত্তা বাহিনী তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে, পালিয়ে যায়। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আফগানিস্তানের তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের সীমান্তের দখল নিয়েছে তালেবান।তবে, মাজার-ই-শরীফ, কান্দাহার ও হেলমান্দে সরকারি বাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে পিছু হটেছে জঙ্গিগোষ্ঠীটি। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ কাস্টমস দখলের পর পদত্যাগ করে, পরিবারসহ দেশ ছাড়েন ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী খালিদ পায়েন্দা।এদিকে, আফগানিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে তালেবান ও সরকারি বাহিনীর সংঘাতের মধ্যে প্রাণে বাঁচতে রাজধানী কাবুলে আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকে। দেশটির উত্তরাঞ্চলে দুপক্ষের তীব্র লড়াই চলছে। জাতিসংঘের হিসেবে, কয়েক মাসে ১ হাজারের বেশি বেসমারিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আর ৯ জুলাই থেকে এক মাসে প্রাণ হারিয়েছেন ১৮৩ জন।আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চল দখলে এগুচ্ছে তালেবানরা। তাদের ঠেকাতে মরিয়া আফগান বাহিনীও। দুপক্ষের সংঘাতে যেন নাভিশ্বাস উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। রাস্তা, পার্ক, পরিত্যক্ত গুদাম, খোলা আকাশের নীচে কাটছে তাদের দিন-রাত।পালিয়ে আসা এক ব্যক্তি বলেন, কুন্দুজ থেকে পালিয়ে এসেছি। ৭ দিন এখানে আছি। না খেয়ে কাটছে। কেউ এসে খাবার দিলে, সবাই মিলে মিশে খাচ্ছি।পুল-ই-খুমরি তালেবানের দখল গেলে, সেখানে থাকলে মৃত্যু অনিবার্য। সেখান থেকে পালাই। সারারাত হেঁটে অনেক কষ্ট করে এখানে এসেছি। অল্প কিছু অর্থ আছে আমার কাছে। কতোদিন এভাবে কাটবে জানি না।শহরে আশ্রয়প্রার্থী বাড়ায় উদ্বিগ্ন কাবুলের বাসিন্দারাও। ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তায় তারা। খবর : রয়টার্স।