সারাদেশে এক রেটে ইন্টারনেট সেবামূল্য নির্ধারণ, ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর
অবশেষে নির্ধারণ হলো ‘এক রেটে’ ইন্টারনেট সেবামূল্য। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ইন্টারনেটের নতুন এই সেবামূল্য (ট্যারিফ) ঘোষণা করেন তিনি। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী জানান, যে সেবামূল্য বেঁধে দেওয়া হলো, তা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জন্য। তিনি মোবাইল অপারেটরগুলোর জন্যও আইআইজি ও এনটিটিএন’র সেবামূল্য বেঁধে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। অপারেটরগুলো শুরুতে যে সেবামূল্য নিতো সেই হিসাবে দাম বেঁধে দেওয়ার পর বর্তমানে প্রায় ৯০ শতাংশ কম দামে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো (আইএসপি) সেবা নিতে পারবে।টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “এ মূল্য নির্ধারণের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশের আরও এক ধাপ অগ্রগতি হলো। আজকের এ ঘোষণার ফলে সারাদেশে ‘এক দেশ এক রেট’ ইন্টারনেট বাস্তবায়ন আরও সহজ হলো। ৬ জুন ‘এক দেশ এক রেট’ ইন্টারনেট ঘোষণা দেয়ার পরে তা বাস্তবায়নে সমস্যা হচ্ছিল। এখন এটা আর থাকবে না।”মোবাইল অপারেটরের বিরুদ্ধে কল ড্রপ, নেটওয়ার্ক সমস্যা নিয়ে শত শত অভিযোগ আছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মন্ত্রীর সম্পৃক্ততা বেশি বলে তার কাছে সরাসরি অভিযোগ আসে বলে তিনি জানান।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিটিআরসি আইআইজির জন্য বিভিন্ন ভলিউমে ১১টি স্ল্যাবে ব্যান্ডউইথের দাম ও এনটিটিএনগুলোর জন্য ট্রান্সমিশন ক্যাপাসিটির ভলিউম অনুযায়ী ১৫টি স্ল্যাবে সেবামূল্য বেঁধে দেয়া হয়।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যেই আমরা ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চালু করতে পারবো। এজন্য টেলিটক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।’আইআইজি ফোরামের মহাসচিব আহমদে জুনায়েদ বলেন, ট্যারিফ ঠিক করে দেয়ার ফলে সারাদেশে এখন এক দামে ব্যান্ডউইথ বিক্রি হবে। ঢাকার বাইরে একেক আইএসপি একেক দামে ব্যান্ডউইথ কিনত। এখন থেকে এক রেটে কিনবে। ফলে তা গ্রাহকের দিকেই যাবে।