সরকার গঠনে কাবুলে তালেবান নেতা মোল্লা আবদুল ঘানি বারাদার
রাজধানী দখলে নেওয়ার এক সপ্তাহ পর আফগানিস্তানের পরবর্তী সময়ের নতুন সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা চালাতে কাবুলে পৌঁছেছেন তালেবানের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল ঘানি বারদার। তালেবানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোল্লা বারদার সরকার গঠনের লক্ষ্যে কমান্ডার, সাবেক সরকারের নেতা ও নীতি-নির্ধারক, ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালাবেন। তবে এ ব্যাপারে তালেবান বিস্তারিত কিছু জানায়নি।তালেবানের একমাত্র রাজনৈতিক কার্যালয় রয়েছে কাতারের দোহাতে। সেখানের কার্যালয় থেকে বৈশ্বিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালান তালেবানের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল ঘানি বারদার। গত মঙ্গলবার কাতার থেকে তিনি আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহারে ফিরে আসেন। কান্দাহারকে বলা হয় তালেবানের ‘আধ্যাত্মিক জন্মভূমি’।২০২০ সালে থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালিয়ে আসা মোল্লা বারদারকে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে, কারণ, বিভিন্ন সময়ে তিনি এ নিয়ে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন।তবে তালেবানের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবান ৩১ আগস্টের আগে সরকার গঠনের বিষয়ে কোনো ঘোষণা দিবে না। কারণ, ৩১ আগস্টের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব সেনা আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।সশস্ত্র গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশটির অভ্যন্তরীণ আর্থিক সংকট আর নিরাপত্তার বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ‘নতুন ধরনের’ সরকার গঠনের পরিকল্পনায় আছে তালেবান।