আফগানিস্তান থেকে সকল মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ২০ বছরের আফগান যুদ্ধের সমাপ্তি
আফগানিস্তান থেকে সকল সেনা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সময়সীমা মেনেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সোমবার সেনা ও বিদেশি নাগরিকদের নিয়ে কাবুল ছেড়েছে সবশেষ ফ্লাইট। আর এর মাধ্যমেই ২০ বছরের যুদ্ধের অবসান হয়েছে । দিনটিকে ঐতিহাসিক বলেছে তালেবান।আফগানিস্তানে অভিযান সম্পন্ন করায় মার্কিন সেনাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর আফগান ও বিদেশি নাগরিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে, কাবুলে নিরাপত্তা জোন গঠনে অনুমোদন দিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলায় আল-কায়দার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বিশ্ব থেকে সন্ত্রাসবাদ উচ্ছেদের অঙ্গীকার করেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। ওই সময় আল-কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনসহ সংগঠনটির লুকিয়ে থাকা নেতাদের যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিতে তালেবানকে বুশ আহ্বান জানান। তালেবান ওই আহ্বান প্রত্যাখান করলে অক্টোবরে আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরু করেন তিনি। পরে এতে যোগ দেয় যুক্তরাজ্যসহ ন্যাটো দেশগুলো।গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর যুদ্ধবিরোধী নীতি কার্যকর করার ব্যাপারে অনড় থাকেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আফগান যুদ্ধের সমাপ্তিতে ট্রাম্পের করা চুক্তি অনুযায়ী আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের চূড়ান্ত প্রক্রিয়াটি শুরু করেন। গত এপ্রিলে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দেন তিনি। এরপর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গত ১৪ই আগস্ট থেকে শুরু হয় সেনা প্রত্যাহার।সবশেষ সোমবার নিদির্ষ্ট সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই মার্কিন সেনা ও বিদেশি নাগরিকদের নিয়ে কাবুল ছেড়েছে মার্কিন সি-সেভেন্টিন বিমানটি। মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডার জানিয়েছেন, ১৮ দিনের মিশনে ৭৯ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ হাজার মার্কিন নাগরিক রয়েছেন।সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, আফগানিস্তানে এখনো ২শ’রও কম মার্কিন নাগরিক রয়েছেন যাদের ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সেনা প্রত্যাহার সম্পন্নর পর কাবুলে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে রাতেই রাজধানী কাবুলসহ বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ উল্লাস করেছে তালেবান। সেসময় গুলি ছুড়ে বিজয়োল্লাস করতে থাকে তারা।